সুবর্ণ প্রভাত ডেস্ক
আজ সোমবার মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামীকাল মঙ্গলবার মহাসপ্তমী। আগামী ১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এ শারদোৎসব।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে নোয়াখালী নয়, এখন সারাদেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে পূজা মণ্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই পূজা ঐতিহ্যবাহী কমিউনিটি পূজা হিসেবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে তা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবে পরিণত হয়।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোটকে আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে। পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা।
এবার নোয়াখালীতে ১৬৯টি পতিমা পূজামণ্ডপে ও ৬ টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে উৎসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এছাড়া মেলা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা বন্ধ এবং বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রা পরিহার করে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার নির্দেশ রয়েছেন বলে জানানো হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের তদারকিতে জেলায় প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।