কাদের মির্জার অনুসারী অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী কেচ্ছা রাসেল ও বাদল অনুসারী ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী পুলিশ ২৩ মামলার আসামি মোঃ শহিদুল্যা রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেলকে (২৯) অস্ত্রসহ এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী ৫ মামলার আসামি মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ওরফে শাহীন চৌধুরীকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেচ্ছা রাসেলকে গ্রেফতার কালে তার কাছ থেকে পুলিশ ১টি এলজি, একটি পাইপ গান এবং ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে। সে বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ সফি উল্যাহ’র ছেলে ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম পিপিএম জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আকরামুল হাসান ও জেলা ডিবির ওসি মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান কালে কোম্পানিগঞ্জ থানার লোহারপোল নামক স্থানে মোঃ শহিদুল্যা রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল ছদ্মবেশে পালানোর কালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার শপিং ব্যাগে থাকা ১টি এলজি, একটি পাইপ গান এবং ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোম্পনীগঞ্জ থানায় পুলিশ আক্রান্ত ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৫ টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ টি, ডাকাতি দস্যুতা ৩ টি, চুরি ১ টিসহ মোট ২৩ টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মোঃ শহিদুল্যা রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল একজন সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে ২৩ টি মামলা থাকার পরও বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন না নিয়ে পলাতক অবস্থায় সে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী হয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ত্রাস সৃষ্টি, চুরি, ডাকাতি, পুলিশের সরকারী কাজে বাঁধা প্রদানসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের আইনানুগ এবং নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জনান, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাইফউদ্দিন আনোয়ার ও এসআই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাত রাত পৌনে ৩টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ওরফে শাহীন চৌধুরীকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানার বিস্ফোরক আইনে ৩ টি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ টি সহ মোট ৫ টি মামলা রয়েছে। চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী তার জনসমর্থন, প্রভাব প্রতিপত্তি, অর্থ যোগান দিয়ে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের পক্ষে কাজ করে আসছে। সে ৫টি মামলার আসামী হওয়া সত্বেও বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন না নিয়ে বাদলের পক্ষে মুছাপুর এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনকে বাঁধা প্রদান করে থাকে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের আইনানুগ এবং নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে।

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

    রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
    ১০১১১২১৩১৪
    ১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
    ২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
    ২৯৩০৩১