শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের অসন্তোষ
বিশেষ প্রতিনিধি চাটখিলঃসারা দেশে ১ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সব ধরনের কার্যক্রম আরম্ভ হলেও ব্যাতিক্রম নোয়াখালী জেলার চাটখিলের সোমপাড়া কলেজ। এ কলেজের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিঘ্নিত হচ্ছে কলেজের পাঠদানসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম। এতে করে কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগনের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে এ কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মহিউদ্দিনকে ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্য, ছাত্রীদের পর্দার বিরোধীতা, সবার সাথে অশালীন আচরন সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি একক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে সকলকে কুক্ষিগত করে এসকল কাজ করে আসছেন। তার সাথে কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী এসব দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে গত কয়েকমাস থেকে এ দুজনের পদত্যাগের দাবী জানিয়ে আসছে, কলেজে তালা দেওয়া ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শেখ এহসান উদ্দিন এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন গত ১ মাস থেকে কলেজে আসছেন না। মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ করে সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
কলেজের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত এ সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন এবং তাকে এ পদ পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা কলেজ বন্ধ রাখবে।
এব্যাপারে অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন জানান, তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। চিকিৎসাধীণ থাকায় গত ১মাস কলেজে যেতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহসানুল হক জানান, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে তার নিকট অভিযোগ রয়েছে। তিনি কলেজে অনুপস্থিত থাকায় কলেজের কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। দুর্নীতি সমূহ তদন্ত করা হবে। কলেজের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিচালনা পরিষদের সভা আহ্বান করেছে শিক্ষকদের মধ্য থেকে এক জনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।