চাটখিল বীরেন্দ্র খালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, পানি চলাচল বন্ধ

মো. হাবিবুর রহমান, চাটখিল : নোয়াখালী জেলার চাটখিল পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের মনগাজী বেপারি বাড়ির সামনে থেকে রাজধানী হোটেলের পূর্ব পাশের ব্রিজ পর্যন্ত বীরেন্দ্র খালের উপর নির্মিত পরপর ৪টি ব্রিজের নিচে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ এবং মনগাজী বেপারি বাড়ির সামনে খালের উত্তরে রাস্তার পাশের ১২টি দোকানঘর গত বর্ষার মৌসুমে খালের উপর ধসে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘ এক বছর পার হলেও অদ্যাবধি দোকানগুলো খাল থেকে সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এর ফলে খালের পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া ময়লা-আবর্জনার গন্ধে পৌরসভার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি দেখা দিচ্ছে। চাটখিল পৌর বাজারের ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন ও মাঈন উদ্দিন শেখ বলেন, পৌর বাজারের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব ব্রিজের নিচে ময়লা-আবর্জনা ফেলে। তাদের নিষেধ করলে ব্যবসায়ীদের সাথে অশোভন আচরণ করে।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, পৌর শহরের হোটেলগুলোর বর্জ্যও ব্রিজের নিচে ফেলা হয়। এতে করে বর্তমানে ব্রিজের নিচে ময়লার স্তূপ জমে থাকায় পানি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে সোমপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন বলেন, এ আবর্জনার স্তূপের কাছেই ভীমপুর হাইস্কুল এবং কারিগরি কলেজ ও চাটখিল কামিল মাদ্রাসাসহ পৌর বাজার। জনসমাগমপূর্ণ এ বাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রীরেন্দ্র খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলে একদিকে পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিনের (ভিপি নিজাম) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সাবেক মেয়রের অনেক দায়-দেনা মাথায় নিয়ে তিনি দায়িত্বভার নিয়েছেন। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন ধীরে ধীরে পরিশোধ করেছি। তবে বৃষ্টির চাপ কমলেই খালের বর্জ্য সরানো হবে। এছাড়া খালে পড়ে থাকা দোকান আমাদের নয়, দোকানগুলো জেলা পরিষদের।
নোয়াখালী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, খুব শিগগিরই বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

    রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
     
    ১০১১
    ১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
    ১৯২০২১২২২৩২৪২৫
    ২৬২৭২৮২৯৩০৩১