সুবর্ণ প্রভাত বিনোদন ডেস্কঃজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ঢালিউডের প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা ও নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা রহমান আর নেই। শুক্রবার দিবাগত রাতে (৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এ তথ্য জানিয়েছেন তার ছেলে নিশাত মণি।
কয়েকদিন ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এই শিল্পীকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।
ছেলে নিশাত মণি জানান, জ্বর ও রক্তে ইনফেকশন জনিত কারণে গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।
‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে চিত্রজগতে পথচলা শুরু করেন। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন। এরপর ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
অসাধারণ শিল্পী অঞ্জনা নাচের গুণে দেশ সেরা অভিনেত্রীর তকমা পেয়েছিলেন। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।
জীবদ্দশায় প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জনা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি অভিনয় করেছেন ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায়।