নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালীর প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে শুক্রবার হিন্দুদের দোকানপাট, মন্দির, বাসাবাড়ি হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ এবং ইসকনভক্ত যতন সাহা ও প্রান্ত চন্দ্র দাস নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ রবিবার বেগমগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় অপর মামলা করেছেন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ। অন্যদিকে নিহত যতন সাহা ও প্রান্ত চন্দ্র দাসের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো., শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় চোমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জামাল হোসেন বাদী হয়ে ২৪৫ জনকে এজহারভুক্ত ও অজ্ঞাত দুই থেকে আড়াই হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের এ মামালায় ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ রতেœশ্বর দেবনাথ ওরফে রসপ্রিয় দাস বাদী হয়ে ১৫ জনকে এজহারভুক্ত ও অজ্ঞাত ১৮০ থেকে ২০০জনকে আসামি করা হয়েছ্।ে এ মামলা ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া চৌমুহনীতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আরো ২টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
১৮ মামলায় গ্রেফতার ৯০
পুলিশ সুপার জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে দূর্গাপূজায় সহিংসতার ঘটনায় গতকাল রাত ৭টা পর্যন্ত ১৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে বেগমগঞ্জে ৬ টি , হাতিয়া ৮ টি, সোনাইমুড়ি ১টি, কবিরহাট ১ টি, চাটখিল ১টি ও সেনবাগ থানায় ১ টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ১৮টি মামলায় আজ পর্যন্ত ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলা গুলোতে ২৮৫ জনকে এজহারভ’ক্ত এবং ৪-৫ হাজার অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ময়না তদন্ত শেষে নিহত যতন সাহার লাশ ও প্রান্ত চন্দ্র দাসের লাশ তাদের স্বজনদের কাচে হস্তান্তর করা হয়। জেলায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মন্দির এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে ।