নিজস্ব প্রতিনিধি
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এর নেতৃত্বে কেন্দ্রিয় পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিলন দত্ত ও পুজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাপস পালসহ একটি প্রতিনিধি দল চৌমুহনীতে আছেন । আজ রবিবার দুপরে তারা চৌমুহনী বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দোকানপাট, একাধিক মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরে ঘটনারস্থল গুলো পরিদর্শন করেন।
শেষে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন,সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে চিহ্নিত করে বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ এ জাতীয় আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং মন্দির গুলো যা ক্ষতি হয়েছে এটি পুনরায় নির্মাণ করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান।
রানা দাশগুপ্ত আরো বলেন, বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে হামলার মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চ্যালেঞ্জ চুড়ে দিয়েছে । তাদের উদ্দেশ্য হলো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা। বাংলাদেশের ভাবমূর্তির বিদেশে বিনষ্ট করা এবং এই জাতীয় হামলার মধ্য দিয়ে সংখ্যালগুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা।
সংখ্যালগুদের উপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৩শে অক্টোবর শনিবার সারা বাংলাদেশের সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণ-অনশন ও অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক বিনয় কিশোর রায়, সদস্যসচিব আইনজীবী পাপ্পু সাহা, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতা রতন কৃষ্ঞ পাল, চৌমুহনী পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।