মো. আবদুল মালেক,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃদীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির এক মাস পর লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ নামক জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান।
সন্তানকে ফিরে পেয়ে মহা-খুশি তার মা হুমায়ারা বেগম। তিনি বলেন, খানাপিনা ছেড়ে কান্নাকাটিতে ছিলাম, আল্লাহর কাছে শুধু একটাই চাওয়া ছিল আমার বাবাকে সুস্থভাবে আমার কোলে ফিরিয়ে দিন। এখন খুব খুশি লাগছে। স্বজনরাও এখন আনন্দে আত্বহারা হয়ে উঠেছেন। ঈদের আনন্দে মলিন থাকলেও এখন সেই আনন্দের চাইতে আরও মহাখুশি পরিবারটি।
আইয়ুব খানের বড় ভাইসহ স্বজনরা বলছেন, আইয়ুবকে ছাড়া ঈদের আনন্দ ছিল না পরিবারে। এখন এর চাইতে বেশী আনন্দ লাগছে।
এলাকাবাসী বলছে, ভয়কে জয় করে নতুন উদ্যমে দেশ সেবায় নিয়োজিত থাকবেন আইয়ুবসহ সবাই, এ প্রত্যাশা তাদের।
ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন আইয়ুব খান। জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ নামক জাহাজের ২৩ নাবিক জিম্মি হওয়ার পর অবশেষে এক মাস আগে মুক্তি পেলেও মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন তারা। এসব নাবিকের একজন হলেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই বাড়ি ফিরেছেন তিনি। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সুস্থভাবে তার বাড়ি ফেরার ঘটনায় এখন মহা-খুশি পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।
ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান জানান, ১২ মার্চ হঠাৎ জাহাজে আক্রমন করে দস্যুরা (প্রথমে ১৩ জন ও পরে আরও বাড়ে দস্যুর সংখ্যা)। এ সময় সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। এরপর জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। সবার কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।এ সময় এক রুমে সবাইকে জিম্মি রেখে নোংরা পরিবেশে নির্যাতন করতো দস্যুরা।
তিনি বলেন, পুরো সময় ভয় উৎকণ্ঠায় ছিলাম। পরে মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল রাত ১২টা ৮ মিনেটে আমাদের ছেড়ে দেয় তারা। এ সময় নৌ বাহিনীর স্কটে হাই রিস্ক এরিয়া পার করে দেয়া হয়। পরে দুবাই হয়ে দেশে ফিরা হলো।
দেশবাসীর দোয়ায় সুস্থভাবে ফিরে এখন অনেক উচ্ছ্বসিত জানিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এ নাবিক।
জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে মায়ের কোলে ফিরলেন লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব
- সুবর্ণ প্রভাত
- মে ১৫, ২০২৪
- ৬:১০ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুনঃ
- সর্বশেষ
- সর্বাধিক পঠিত