নিজস্ব প্রতিনিধিঃনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুর ইউনিয়নের নিহত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৮ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগটি আমলে নিয়ে এ ঘটনায় পূর্বে মামলা না হয়ে থাকলে নিয়মিত মামলা হিসেবে (এফআইআর) রেকর্ড করতে কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদির আইনজীবী ও জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ছাড়াও তৎকালীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলামসহ ১৯ পুলিশকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানাযায়, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে মিথ্যা মামলায় দলের অন্যতম নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এতে আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগিরা অস্ত্র হাতে মিছিলে হামলা চালায়। এসময় কাদের মির্জা ও ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকনের গুলিতে বাদির ভাই সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন মুন্না ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের গুলিতে চরহাজারীর আবদুর রাজ্জাকের ছেলে আবদুল আজিজ রায়হান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, কাদের মির্জার ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল খায়েরের গুলিতে চরকাঁকড়ার আবুল কাশেমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবুল মারা যায়।
অন্যদিকে, একই সময় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মো. নুরুজ্জামানের নির্দেশে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সফিকুল ইসলাম, এসআই শিশির কুমার, এএসআই উক্যসিং মারমার গুলিতে বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান সজিব নিহত হয়।
মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আরেক ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সহ অপর আসামিরা সহ অজ্ঞাত ১৫০ জন আসামি মিছিলকারী অন্তত ১০০ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
মামলার বাদি মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি এবং আমার ভাই সাইফুল ইসলাম জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আমরা ঘটনার সময়ে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করি। এতে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগি ও প্রশাসনের গুলিতে আমার ভাইসহ চারজন ঘটনাস্থলে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমরা এ হত্যার বিচার চাইলেও আসামিদের প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো বিচার পাইনি। এমনকি গত ১১ বছর ভুক্তভোগী নিহতদের পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে থাকতে পারিনি। বর্তমানে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর স্বাধীন বাংলাদেশে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
জামাত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মিকে হত্যার অভিযোগে কাদের মির্জাসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- সুবর্ণ প্রভাত
- সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
- ৫:২৬ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুনঃ
নোয়াখালীতে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত
•
ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
সোনাইমুড়ীতে মাদক ও জুয়া বিরোধী মানববন্ধন
•
ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
- সর্বশেষ
- সর্বাধিক পঠিত