বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃনোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো ‘উদ্ভাবন প্রদর্শনী ইনোভেশন শোকেসিং’ অনুষ্ঠান আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলে (আইকিউএসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২০২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ইনোভেশন টিম আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম প্রধান অতিথি হিসেবে সকালে এর উদ্বোধন করেন ও প্রদর্শনীসমূহ ঘুরে দেখেন।
প্রদর্শনী শেষে বিজয়ী দলসমূহের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলাম। এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এই যুগে তথ্য প্রযুক্তিতে নতুন ইনোভেশন অগ্রাধিকার পাচ্ছে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, শিক্ষা-গবেষণার ধরণ প্রতিনিয়ত আরো আধুনিক ও উন্নততর হচ্ছে। আজকের নোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানটি আমাদের সেই ভাবনার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণের জন্য কাজ করছেন। এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
নোভেশন টিম এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ এর সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান ভূঞা, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুন নবী, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার, ইনোভেশন টিম এর ফোকাল পয়েন্ট ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবু জুবায়েরসহ এপিএ ও ইনোভেশন টিম এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দল ২৩টি উদ্ভাবনী প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রদর্শন করে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ৯টি, শিক্ষকদের ৯টি ও কর্মকর্তাদের ৫টি প্রকল্প রয়েছে। প্রতিযোগীতায় পারিতোষিক বিল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট এ সম্মিলিতভাবে সেরা হন নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক মো. ইফতেখার আলম ইফাত ও তার দল। এরপর শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ডিএনএ বারকোডিং ফর এনিমেল, প্লান্ট এন্ড মাইক্রোভস উদ্ভাবনে প্রথম হয় বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও তার দল। কর্মকর্তাদের মাঝে অটোমেটেড আইডি কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইনোভেশনে সাইবার সেন্টারের প্রোগ্রামার রনক ভৌমিক ও তার দল প্রথম হয়। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মার্ট এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্ভাবনে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশ চন্দ্র দেবনাথ ও তার দল।-প্রেসবিজ্ঞপ্তি
- সর্বশেষ
- সর্বাধিক পঠিত