নোয়াখালীতে প্রকৌশলীসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক কারাগারে

সুবর্ণ প্রভাত নিউজ ডেস্কঃনোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় গত ৫ মে আইটিসিটি আইনে দায়েরকৃত একটি মামলার আসামি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাতিয়া উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলসহ ওই উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভুঁইয়া তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।
আসামিরা হলেন, হাতিয়া উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শরীফুল ইসলাম (৪০), একই উপজেলার জাহাজমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন (৫২), মধ্য রেহানিয়া আবদুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন তানবীর (৩৫), ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আরা বেগম (৩৫) ও হাসান উদ্দিন বিপ্লব (৩৮)। তাদের মধ্যে শিক্ষক জিন্নাত আরা বেগম প্রকৌশলী শরীফুল ইসলামের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জজ আদালতের পিপি গুলজান আহমেদ জুয়েল জানান, আসামিরা একজন শিক্ষিকার মোবাইল হ্যাক করে তার ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি চুরি করে একে অপরের মাধ্যমে প্রচার করেছেন। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকার স্বামী হাতিয়ার ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মামুন অর রশিদ বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ (আইসিটি) আইনে মামলা করেন। মামলার পর প্রধান আসামি সদর উপজেলার মাইজভান্ডার শরীফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুইমাস হাজতবাসের পর উচ্চ আদালত থেকে এখন জামিনে রয়েছেন তিনি। অপর আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তাদের জামিন শেষে আজ জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আিদালত নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

    রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
    ১০১১১২১৩১৪
    ১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
    ২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
    ২৯৩০৩১