সুবর্ণ প্রভাত নিউজ ডেস্কঃ “মুছে যাক গ্লানি ,ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” এ স্লোগানকে সামনে নিয়ে নোয়াখালীর সর্বত্র উৎসব মুখর পরিবেশে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে বাঙালির প্রানের উৎসব বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হচ্ছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে বৈশাখী বন্দনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা বের করা হয়।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে নানা রঙে সজ্জিত ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, সিভিল সার্জনের দপ্তর, সদর উপজেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি দপ্তর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোভাযাত্রাটি বের হয়।শোভাযাত্রাটি জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে এসে শেষ হয়।
এর পর শিল্পকলা একাডেমির মাঠে লোকজ মেলার উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। পরে পান্তা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন আয়োজিত অতিথি ও দর্শনার্থীরা। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর মানুষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত শপথে বর্ষবরণে মেতেছে। বৈশাখ এলেই আমরা নতুনভাবে জেগে উঠি। সকল ভেদাভেদ ভুলে, সাম্প্রদায়িকতাকে পেছনে ফেলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাই।
তিনি আর বলেন, আমরা সকল অপশক্তিকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। আমরা এই সংকল্প নিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একত্রিত হয়েছে। আমরা আশা করি বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন প্রজন্ম মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়বো।
এসময় জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জেলার সিভিল সার্জনডা. মাসুমইফতেখার, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) যুগ্ম পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ পারভেজ,জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা বিনতে আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখিনূর জাহান নীলা, জেলা মক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহাজাহান, সাবেক অধ্যক্ষ কাজী মুহাম্মদ রফিক উল্লাহসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, পুলিশ ও বিভিন্ন সামজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে জেলা কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবার উন্নত মানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালী খাবার পরিবেশন করা হয়।