নিজস্ব প্রতিনিধি
ডাকাতির স্বর্ণালঙ্কার রাখা ও ভাগাভাগি নিয়ে সহযোগী ডাকাতের গুলিতে মো.রুবেল (২৭) নামের এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের আতাশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ মো.রুবেল একই উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের মো. হানিফের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র, মারামারি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে ।
২০১৫ সালে জেলা সদরের তৎকালীন এএসপি মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা ডিবি পুলিশ অস্ত্র ও গুলিসহ রুবেল ও তার দুই সহযোগিকে গ্রেফতার করে।
জানাযায়, ঘটনার রাত ৩টার দিকে উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের আতাশপুর গ্রামের প্রাবাসী মিলন মিয়ার নতুন বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাতরা দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঘরে প্রবেশ করে ওই পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও মালামাল লুট করে। পরে ওই বাড়িতে ডাকাতদের মধ্যে স্বর্ণালঙ্কার রাখা ও ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ বাধে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হাতা হাতি এবং গুলি করার ঘটনা ঘটে। এর এক ঘন্টা পর ভোর ৪টার দিকে গুলিবিদ্ধ রুবেলকে পাশবর্তী দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর ব্রিকস ফিল্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন উদ্দিন জানান, প্রবাসীর বাড়িতে দস্যুতা করে স্বর্ণের চেইন গোপন করা নিয়ে রুবেলকে অন্য ডাকাতরা গুলি করে। এ ঘটনা কালে রুবেলসহ ৪ ডাকাত ছিল। আজ বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আমেনা বেগম শিউলি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গুলিবিদ্ধ রুবেলের বিরুদ্ধে আগের একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ রুবেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এ সম্পর্কে পুলিশ জানার আগেই হাসপাতাল থেকে আজ ভোরে ঢাকায় চিকিৎসার পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশকে না জানিয়ে গুলিবিদ্ধকে কেন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এ সম্পর্কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা.সৈয়দ মহিউদ্দিন মো. আবদুল আজিম বলেন, রুবেল নামের এক গুলিবিদ্ধ যুবককে ভোর রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার চোখে মুখে ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন গুলি বিদ্ধ ছিল । তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।