নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুনুর রশিদ মোলা (৫৫) হত্যাকান্ডের পরদিন আজ শনিবার বিকালে ৪০ জনকে এজাহারভূক্ত ও অজ্ঞাত আরো কয়েক জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত হারুন মোল্লার ছোট ভাই আমিনুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে গত বছরের জুন মাসের শেষ দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা নিহত হোরনের ছেলে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রিয়াজ উদ্দিকে। এছাড়া ঘটনার রাতে গ্রেফতারকৃত ওই এলাকার পুর্ব মাইজচরা গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে মো. সোহাগ(২৪) ও একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. মিলন হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন। তিনি জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই জনকে আজ সন্ধ্যায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজনৈতিক কোন্দল ও পুর্ব শক্রতার জের ধরে শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নিজ বাড়ির পাশ্বে পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের চৌকিদারহাট এলাকায় হারুনুর রশিদ মোলাকে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তার ভাতিজা রমিজ ও ছেলে সজীব কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। রমিজকে (২২) প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে বিকাল সোয়া ৪ টার দিকে নিহত হারুনুর রশিদ মোলার জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। তার জানাজায় শরীক হন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা সদরের সাবেক এমপি মোহাম্মদ শাহজাহান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান, জেলা বিএনপর শহিদুল ইসলাম কিরন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিমুল্যাহ বাহার হিরন, সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিন, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের, জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান , স্বোচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান নোমানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মিরা।