সুবর্ণ প্রভাত রিপোর্ট
৩৩৩ নাম্বারে কল করে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াখালীর কর্মহীন, নিম্ন ও মধ্য আয়ের অসহায় মানুষ। যারা ত্রানের জন্য লাইনে দাঁড়াতে পারেনা, কারও কাছে হাত পাততে পারেনা, তাদের ৩৩৩ নাম্বারে একটি মোবাইল কলে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার। করোনা সংক্রমনের এ দু:সময়ে কেউ যেন না খেয়ে থাকে সে জন্য নিম্ন ও মধ্য আয়ের অসহায় মানুষের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
নোয়াখালীর নয়টি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে রোভার স্কাউট, আনসারসহ স্বেচ্ছাসেবীরা দিনে ও রাতে পৌঁছে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি লবণ ও ১০০ গ্রাম করে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া। করোনা কালে এ দুঃসময়ে খাদ্য সহায়তা পেয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় নি¤œ আয়ের মানুষগুলো মহা খুশি ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ৩৩৩ নাম্বারে গত ১ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তার জন্য ২২হাজার ৯৭টি আবেদন জমা পড়েছে। তা যাচাই-বাছাই করে করে ১৬ হাজার ৩১০টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেয়া হয়েছে । আরো জানাযায়, জেলার ৯টি উপজেলা মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৫০২ পরিবার, বেগমগঞ্জে ৩ হাজার ৯৬৭ পরিবার, সুবর্ণচরের ২ হাজার ৮৩৩ পরিবার, সোনাইমুড়ীর ২ হাজার ২৫৩ পরিবার, কোম্পানীগঞ্জে ১ হাজার ৪২ পরিবার, কবিরহাটের ৮৪১ পরিবার, চাটখিলের ৬৯১ পরিবার,, সেনবাগের ৫৯৭ পরিবার, ও হাতিয়া উপজেলায় ৫৮৩টি পরিবার সহায়তা পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেক নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওযায় আজ অভাব অনটনের মধ্যে দিন যাপন করছেন । তারা অনেকে চক্ষু লজ্জায় জনসমক্ষে লাইনে দাঁড়িয়ে খাদ্যসহায়তা নিতে পারছেন না। তাঁরা ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তার জন্য আবেদন করেছেন। এ খাতে গত জুলাই মাসে ২ কোটি ১ লাখ ২৫৬ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। খাদ্যের প্যাকেট নিয়ে কখনো ইউএনও, কখনো সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) সরকারি কর্মকর্তা মানুষের বাড়ি বাড়ি গেছেন। যত দিন পর্যন্ত বরাদ্দ শেষ না হবে, তত দিন এসব পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া অব্যাহত থাকবে।