নিজস্ব প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার থানার ওসির সরকারি ফোন নম্বর ক্লোন করে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় প্রতারক চক্রের সহযোগী দুই বিকাশ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বারাহীনগর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মাকছুদুর রহমান (৩৪) এবং চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) থানার মান্দারতলী গ্রামের সেফুল ইসলামের ছেলে নবীর হোসেন (৩২)।
আজ বুধবার সকালে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চরজব্বার থানার এসআই মো. সালাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত দুইজন বিকাশ এজেন্ট। এরা মূল প্রতারকদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। কারা টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে তাদের পরিচয় দিতে পারেনি তারা। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক এ ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ৯ সেপ্টেন্বর আমার পরিচয় দিয়ে আমার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে চরওয়াপদা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির আহমদকে কল করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ তাকে সুবিধা দেয়ার কথা বলে টাকা চায় এক প্রতারকচক্র। এ সময় এক প্রতারক তার সাথে থাকা একজনকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী পরিচয় করিয়ে দেয়। ওই ম্যাজিস্ট্রেট অন্য অফিসারদের ম্যানেজ করার জন্য চেয়ারম্যানকে ৮টি বিকাশ নম্বরে চার লাখ টাকা দিতে বলে। পরে চেয়ারম্যান মনির আহমদ তাদের কথা মতো ৮টি বিকাশ নম্বরে চার লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন।
ওসি আরো জানান, টাকা পাঠিয়ে দেয়ার পর প্রতারক চেয়ারম্যানকে থানায় এসে আমার সাথে কথা বলে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে বলেন। ওইদিন রাত সড়ে ১০টার দিকে তিনি থানায় এসে আমার সাথে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। ওই রাতেই চেয়ারম্যান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বিকাশের হটলাইনে যোগাযোগ করে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা পেমেন্ট স্থগিত করার ব্যাবস্থা করি। এ ঘটনার মূলহোতাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।