সুবর্ণ প্রভাত রিপোর্ট
নোয়াখালীর চিকিৎসা সেবায় নতুন দ্বার উন্মেচিত হতে যাচ্ছে । দীর্ঘ কয়েক যুগ পর এ বার্তা জেলাবাসীর জন্য এক মহা সুখবর। শুধু নোয়ায়াখালী বাসী নয়, বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষীপুর ও ফেনী জেলা এবং পাশ্ববর্তী জেলাবাসীর জন্যও সুখবর। উন্নত চিকিৎসা সেবায় নোয়াখালীবাসী এত দিন ছিল অবহেলিত। ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ছিল না একটিও আইসিইউ এবং এইচডিইউ বেড। ছিল না সেন্টাল অক্সিজেন। অধিকাংশ মুমুর্ষ বা সংকটাপন্ন রোগীদের উন্নত চিকিৎসা পাঠাতে হয়েছে রাজধানীতে। আগামী মাসের মধ্যে কোভিড রোগী বা সাধারণ রোগীদের জন্য উন্নততর চিকিৎসার দ্বার উন্মেচিত হবে এ হাসপাতালে । নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত হতে যাচ্ছে আইসিইউ এবং এইচডিইউ বেড ও সেন্টাল অক্সিজেন। এটি নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ এ মোহতী উদ্যোগ এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার ফসল।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানালেন, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ইতো মধ্যে স্থাপিত হয়েছে ১ হাজার লিটার বিশিষ্ট তরল অক্সিজেন প্লান্ট। ইউনিসেফের আর্থিক সহযোগিতায় এ অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেনের আওতায় প্রত্যেক বেডে অক্সিজেন পয়েন্ট থাকবে। সেই সাথে ১০ টি আইসিইউ এবং ২০ টি এইচডিইউ বেডসহ প্রায় ১০০ বেড বিশিষ্ট নতুন কোভিড ইউনিট স্থাপনের কাজ চলছে। যার চালিকাশক্তি মূলত এই তরল অক্সিজেন প্লান্ট। এর ফলে শুধু কোভিড রোগীদের জন্য নয়, সাধারণ রোগীদের জন্য উন্নততর চিকিৎসার পথ সুগম হবে । আগামী মাসের মধ্যে (সেপ্টেন্বর) নোয়াখালীর চিকিৎসা সেবায় একটি অনন্য মাত্রা যোগ হয়ে নতুন দ্বার উন্মেচিত হবে। সিভিল সার্জন আরও জনালেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান মঙ্গলবার তরল অক্সিজেন প্লান্টটি পরিদর্শনে যান । এ সময় তার ছিলেন তিনি, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন ও আরএমও ছৈয়দ মহিউদ্দিন মোঃ আবদুল আজিম।