নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালী সোনাইমড়ী থানার পুলিশ হেফাজত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন
( ধর্ষণ) মামলার পলাতক দুই আসামির মধ্যে দোলোযার হোসেনকে(২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ঢাকার কামরাঙ্গির চর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বর্তমানে ওই থানার হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অপর পলাতক আসামি মোঃ জুয়েলকে(২৪) গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, দায়িত্ব অবহেলায় এ সময় কর্তব্যরত সোনাইমুড়ী থানার এসআই ফারুক হোসেন,পুলিশ সদস্য আবদুল কুদ্ধুস ও নারী পুলিশ সদস্য আসমা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই দায়িত্বে থাকা সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক জিসান আহম্মদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য চট্রগ্রাম রেজ্ঞের ডিআইজির দপ্তরে জনানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে জেলা সুপার সূত্রে জানাযায়, গতকাল বুধবার সোনাইমুড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদ নেতৃত্বে পুলিশ পাহারায় নোয়াখালী কারাগার থেকে চার ধর্ষণ মামলার চার হাজতি আসামি ও চার নির্যাতিতাকে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য মাইক্রোবাস যোগে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডিতে নেয়া হয় । সেখান থেকে তারা নোয়াখালী ফিরে আসার পথে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে পাশে একটি খাবার হোটেলের টয়েরেটের পিছনের জানালা ভেঙ্গে দুই আসামি সোনাইমুড়ী থানার মিয়াপুর গ্রামের পিতা মৃত-চাঁন মিয়া ছেলে মোঃ জুয়েল এবং বগাদিয়া গ্রামের মৃত-আবদুল লতিফের পুত্র দোলোযার হোসেন পালিয়েয়ে যায়।