নোয়াখালীর প্রথম ও পরবর্তী শহীদ মিনার

Shuborno Provaat - সুবর্ণ প্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’ মরহুম শিল্পী আবদুল লতিফ ও শহীদ শিল্পী আলতাফ মাহমুদের গাওয়া বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ও রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে এ দুটি স্মরণীয় গান যখন এ দেশের ছাত্র-জনতার মুখে মুখে ব্যাপকভাবে ধ্বনিত হয়নিÑ তখন শহীদ মিনার স্থাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এক দুরূহ ও দুঃসাহসিক কর্ম ছিল। কঠিন রাজনৈতিক অবস্থার মুখোমুখি থেকে ও আইয়ুবি শাসকগোষ্ঠির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে সে সময় নোয়াখালী জেলার হাতেগোনা কয়েকজন স্কুলপড়ুয়া ছাত্র ও তরুণ মিলে এক অজপাড়াগাঁয়ে কাঁদামাটি দিয়ে শহীদ মিনার স্থাপন এবং শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে প্রথম শহীদ দিবসটি পালন করেন। সেদিন ছিল ১৯৫৩ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। বেগমগঞ্জ হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষা দেয়ার পর কয়েকজন ছাত্র ‘নুরুল আমিনের কল্যা চাই’, ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ এ শ্লোগান দিয়ে কাজীরহাট হাইস্কুলের মাঠে একুশের রাতে জড়ো হন। তখন তাদের নেতৃত্বে ছিলেন এক সময়ের বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক কর্মী শিবিরের সভাপতি এবং গরীবি হটাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক কমরেড মরহুম নুরুল হক চৌধুরী মেহেদী। তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক জিএম মরহুম আবদুল জলিল, টিএন্ডটি এসডিই মরহুম মোঃ হানিফ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা প্রয়াত শান্তিরঞ্জন কর্মকার ও চৌমুহনীর চক্ষু চিকিৎসক মরহুম ডা. আবুল খায়েরসহ আরো কয়েক সহপাঠি। তারা সকলে মিলে কাজীরহাট হাইস্কুলের মাঠে কাঁদামাটি দিয়ে তৈরি করেন শহীদ মিনার। ঐ রাতে দু-দু’বার মুসলিমলীগাররা তা ভেঙে ফেলে। তবুও তারা দমেননি। ভোররাতে আবারো শহীদ মিনার বানিয়ে তারা ভাষাশহীদদের স্মরণ করে গাঁদা ফুলের মালা গেঁথে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে প্রথম শহীদ দিবস পালন করেছিলেন। এটিই ছিল জেলার প্রথম শহীদ মিনার ও শহীদ দিবস পালন। সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তখনকার তরুণ ছাত্র ও মৃত্যুর আগে বয়োবৃদ্ধ কমরেড মেহেদী আবেগাপ্লুত হয়ে স্মরণ করেন তার এক শিক্ষক মরহুম মাস্টার আবদুল করিমকে। এ শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় তিনি ও তার সহপাঠিরা নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রথম শহীদ মিনারটি স্থাপন করে শহীদ দিবস পালন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেদিন একুশের রাতে দুইবার মুসলিম লীগের টাউটরা শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলার পরও তারা থামেননি। স্থানীয় ছাত্র-জনতাকে সংঘবদ্ধ করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে তৃতীয়বার শহীদ মিনারটি স্থাপন করেন। এরপর কয়েক বছর অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করেছিলেন তারা। এটি ছিল জেলার প্রথম শহীদ মিনার স্থাপনের ঐতিহাসিক তথ্য। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৯ সালে ইট-সিমেন্ট দিয়ে ঐ শহীদ মিনারটি স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে কমরেড মেহেদীর সেই শিক্ষক মাস্টার আবদুল করিমের পুত্র স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক ডা. ফারুক আল ফয়সাল জানিয়েছেন, তিনবার এ শহীদ মিনারটি স্থান পরিবর্তন করার পর বর্তমানে এটি কাজীরহাট শহীদ আমান উল্যাহ উচ্চবিদ্যালয়ের সম্মুখে স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এ শহীদ মিনারটি সংস্কার করে এক ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে চিহ্নিত করার দাবী জানিয়েছেন তিনি। জেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ সাবেক দুই এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ এবং মাহমুদুর রহমান বেলায়েত জানিয়েছেন, ১৯৫২-৫৩ সালের দিকে কাজীরহাট এলাকার মানুষ রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন ও সংগঠিত ছিল। সে জন্য সম্ভব হয়েছিল শহীদ মিনার তৈরি ও শহীদ দিবস পালন।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পর বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবীতে ছাত্র-জনতাকে সংগঠিত করার জন্য নোয়াখালীর একমাত্র কলেজ চৌমুহনী কলেজের আইএ ২য় বর্ষ মানবিকের ছাত্র ফজলুল করিম চৌমুহনী বাজারে সমাবেশ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক বছর বন্দী রাখা হয়। ১৯৫৩ সালের শেষের দিকে তিনি মুক্তি পান। এ ফজলুল করিম জেলায় ভাষা আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রথম একমাত্র গ্রেফতারকৃত ভাষাসৈনিক। তিনি পরে অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা পত্রিকার ঢাকা সিটি এডিটর ছিলেন। তিনি এখন জীবিত নেই। এ তথ্য দিয়েছেন চৌমুহনী কলেজের এক সময়ের মেধাবী ছাত্র, সাবেক সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোঃ সিরাজ উদ্দিন। সম্প্রতি মোঃ সিরাজ উদ্দিন ইন্তেকাল করেন।
জেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ, অধ্যাপক মোঃ হানিফ সেই সময়ে শহীদ মিনার স্থাপনের কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, শহীদ মিনার নির্মাণ বা স্থাপন অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ ব্যাপার ছিল। জেলার একমাত্র চৌমুহনী কলেজ থেকে পুরো জেলার ছাত্র রাজনীতি পরিচালিত হতো। এ কলেজ ছিল ছাত্র রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ও একই সাথে গণরাজনীতিতেও প্রভাব ছিল স্মরণ করার মতো। এই কলেজের তৎকালীন ছাত্র সংসদ ১৯৬৩ সালে প্রথম জেলায় স্থায়ীভাবে ইট-সিমেন্ট দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে শহীদ দিবস পালন করে। এ সময়ে ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন মরহুম এডভোকেট কাজী মোঃ সোলায়মান, জিএস ছিলেন রামগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও এজিএস ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বৃহত্তর নোয়াখালীর বিএলএফ প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। সে সময় তিনি ও এসব ছাত্র সংসদ নেতারা আইয়ুবি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ভাষাসৈনিকদের স্মরণ ও বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করার দাবীতে এক দুঃসাহসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে শহীদ মিনার স্থাপন করেন। সে সময় আরো যেসব ছাত্রনেতারা ছিলেন তাদের মধ্যে মরহুম পাঠান সিদ্দিক, খালেদ মোহাম্মদ আলী, সাবেক মন্ত্রী ও জাসদ নেতা আসম আবদুর রব, এডভোকেট জয়নাল আবেদিন প্রমুখ। ১৯৫৪-৫৫ সালে মরহুম আলী আহামেদ ও কমরেড মেহেদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেসময় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারা মূলত ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মী ছিলেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও ন্যাপের নেতাদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। আর জেলার রাজনৈতিক নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক স্পিকার মরহুম জননেতা আবদুল মালেক উকিল। তার সাথে ছিলেন সাবেক এমপি মরহুম আবদুর রশিদ, মরহুম নুরুল হক এমএলএ, সাবেক এমএলএ মরহুম শহিদ উদ্দিন এস্কান্দার কচি, মরহুম গাজী আমীন উল্যাহ, মরহুম মাওলানা খালেদ সাইফুল্ল্যাহ ও রইসউদ্দিন। এসব নেতারা চৌমুহনী কলেজ ও জেলার ছাত্র নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং উৎসাহ জোগাতেন ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য। চৌমুহনী কলেজে স্থাপিত সেই শহীদ মিনারটি স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় রাজাকার আল-বদররা ভেঙে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর একই স্থানে শহীদ মিনারটি পুনঃ স্থাপিত হয়।
একই সময় ১৯৬৩ সালে জেলা শহর মাইজদীতে হাতেগোনা ১৫/১৬ জন ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা একত্রিত হয়ে শহরের কেরানী ব্যারাকের সম্মুখে বর্তমানে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন এলাকায় ইট দিয়ে কাপড় মুড়িয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করেন। পরে পুলিশ তা ভেঙে ফেলে। মাহমুদুর রহমান বেলায়েত জানিয়েছেন, সে সময় ছাত্র নেতাদের মধ্যে ছিলেন মরহুম এডভোকেট মহিউদ্দিন মহি, আ স ম আবদুর রব, মরহুম শামসুজ্জামান চৌধুরী বাবুল, সাবেক এমপি ফজলে এলাহী, ঢাকা হাইকোর্টের এডভোকেট আসাদুল্লাহ বেলাল, মরহুম মুন্সি ফারুক ও আজিজুর রহমান ইকবাল। মরহুম আবদুল মালেক উকিলের অনুপ্রেরণায় তারা শহীদ মিনার স্থাপন করেছিলেন। এ স্থানে পাকিস্তানী শাসন আমলে আর শহীদ মিনার স্থাপন করা যায়নি। পরবর্তীতে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জেলা জজ আদালতের পশ্চিম পাশে স্থায়ী শহীদ মিনারটি স্থাপিত হয়। সে সময় একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন কমিটির ব্যানারে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। তখন এ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন এক সময়ের ছাত্রনেতা আজিজুর রহমান ইকবাল। এখন তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি জানিয়েছেন, এ শহীদ মিনার নির্মাণ করতে উল্লেখিত ছাত্রনেতারা ছাড়াও যারা তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন সে সময়ের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্ল্যাহ হিল কাফি ছিলেন অন্যতম। পরে নোয়াখালীর সাবেক ডিসি মরহুম আনিসুর রহমানকে সভাপতি ও আজিজুর রহমান ইকবালকে সাধারণ সম্পাদক করে একুশে উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ১৯৯২ সালের নভেম্বরে জেলা জজ আদালতের পার্শ্ববর্তী শিশুপার্কের এক কোণে নতুনভাবে বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে চৌমুহনী কলেজে শহীদ মিনার স্থাপনের ৫ বছর পর ১৯৬৮ সালে নোয়াখালী কলেজে শহীদ মিনার স্থাপন করেন তখনকার ছাত্র সংসদের নেতারা। সে সময়ে ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন এক সময়ের জাসদ নেতা ও সাবেক এমপি ফজলে এলাহী। তার সাথে ছিলেন জিএস মহিউদ্দিন প্রমুখ ছাত্র নেতারা। ১৯৬৯ সালে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন জেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন ও শহীদ দিবস পালিত হয়েছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছাড়াও চৌমুহনী পাবলিক হল সম্মুখে শহীদ মিনারটি স্থাপন করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও উপজেলা প্রশাসন দপ্তর সম্মুখে ও বিভিন্ন স্থানে শহীদ মিনার স্থাপিত হয়। বর্তমানে জেলার ২৭৮টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে বেশির ভাগ স্কুলে শহীদ মিনার রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ৩২টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলোতে রয়েছে শহীদ মিনার। কিন্তু ১৭৩টি মাদ্রাসার মধ্যে কোথাও শহীদ মিনার নেই। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের তথ্য অনুযায়ী জেলায় প্রথম থেকে শেষ পর্যায় পর্যন্ত শহীদ মিনার নির্মাণ ও ভাষা আন্দোলনে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের অধিকাংশই ছিলেন মেধাবী ছাত্রনেতা। আবার এদের অনেকেই স্বাধীনতাযুদ্ধে, জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ জেলায় ভাষা আন্দোলন ও শহীদ মিনার স্থাপনে উল্লেখিত নেতারা নতুন প্রজন্মের কাছে অচেনা। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের এই প্রয়াস।
উল্লেখ্য, কমরেড নুরুল হক মেহেদী ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। আদর্শবান এ রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব ও ভাষাসৈনিকের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
Ñসম্পাদক

শেয়ার করুনঃ

843 thoughts on “নোয়াখালীর প্রথম ও পরবর্তী শহীদ মিনার”

  1. আজীবন সংগ্রামী জনদরদী কমরেড মেহেদীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সূবর্ণ প্রভাতের সম্পাদক নোয়াখালী জেলার সাংবাদিকতার জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র আলমগীর ইউসুফ সাহেবের সত্যাশ্রয়ী সাহসী কলম দূর্ঘজীবি হোক।

  2. আজীবন সংগ্রামী কমরেড মেহেদীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সূবর্ণ প্রভাতের সম্পাদক ও প্রকাশক আলমগীর ইউসুফ সাহেবের সত্যাশ্রয়ী নির্ভীক কলম দীর্ঘ জীবন লাভ করুক।

  3. CancelContinue to Site To view this page ensure that Adobe Flash Player version 11.
    People should shop online and enjoy the lowest how much lisinopril can i take to help eliminate symptoms by securing excellent online
    OCD should not be confused with obsessive-compulsive personality, which defines certain character traits being a perfectionist, excessively conscientious, morally rigid, or preoccupied with rules and order.

  4. Watch Video Local Weather Thursday, August 06, 2015 Local weather, including current conditons and extended forecast, from the weathercaster of your choice.
    you need an effective treatment option, you should definitely keflex while breastfeeding . ED drugs come in lower price.
    I had many other random MS type symptoms, but the severity of the PVC’s were what scared me the most, that is until 2006.

  5. However in their fervor to reclassify these diseases, the CSSD working group has instead created a psuedo-diagnosis in which patients suffering from any disease whatsoever can be labelled as suffering from a psychiatric disorder simply as a result of being seen by an incompetant physician, which I suppose is only natural as many members of the CSSD working group could also be described thusly.
    Heat up your body with the newest product of what can you not take with cephalexin are standard from these trusted pharmacies
    Emerging Infectious Diseases 12 1.

  6. These include: If cancer is confirmed, doctors will perform additional tests to determine whether the cancer has spread within the breast, to the lymph nodes or to other parts of the body.
    Prevention is better than cure for ED. Click this link nolvadex xt keep them away from direct sunlight.
    Many people suffer from mold exposure without ever suspecting biotoxin exposure is causing their health problems.

  7. Call 800 615-3055 to speak to a cancer information specialist.
    you healthy Exceptional offers from online pharmacies help you zithromax side effects in infants is easy.
    In otherwise healthy adults, influenza virus shedding the time during which a person might be infectious to another person increases sharply one-half to one day after infection, peaks on day 2 and persists for an average total duration of 5 days—but can persist as long as 9 days.

  8. It has extensive information from the National Institutes of Health and other trusted sources on over 700 diseases and conditions, and links to thousands of clinical trials.
    countries also have an FDA approval standard on their cost of levitra Read more about erectile dysfunction here.
    Recommendations The Los Angeles LA classification system should be used when describing the endoscopic appearance of erosive esophagitis Strong recommendation, moderate level of evidence.