নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালী সোনাইমড়ী থানার পুলিশ হেফাজত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন( ধর্ষণ) মামলার দুই আসামির পলায়নের ঘটনায় ওই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদকে চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাকে বরিশাল রেজ্ঞের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ প্রাদন করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী জেলার সোনাইমড়ী থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদকে বিভাগীয শৃংখলা পরিপন্থি কার্য, কর্তব্য কর্মে চরম অবহেলা গাফিলতির দায়ে সককারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ১৮ আগষ্ট সোনাইমুড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদ নেতৃত্বে পুলিশ পাহারায় নোয়াখালী কারাগার থেকে চার ধর্ষণ মামলার চার হাজতি আসামি ও চার নির্যাতিতাকে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য মাইক্রোবাস যোগে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডিতে নেয়া হয় । সেখান থেকে তারা নোয়াখালী ফিরে আসার পথে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে পাশে একটি খাবার হোটেলের টয়েরেটের পিছনের জানালা ভেঙ্গে দুই আসামি ওই থানার মিয়াপুর গ্রামের পিতা মৃত-চাঁন মিয়া ছেলে মোঃ জুয়েল এবং বগাদিয়া গ্রামের মৃত-আবদুল লতিফের পুত্র দোলোযার হোসেন পালিয়েয়ে যায়।
দুই আসামির মধ্যে এক আসামি দোলোযার হোসেনকে (২৮) ওইদিন রাতে ঢাকার কামরাঙ্গির চর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামি মোঃ জুয়েল এখনো পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় কর্তব্যরত সোনাইমুড়ী থানার এসআই ফারুক হোসেন,পুলিশ সদস্য আবদুল কুদ্ধুস ও নারী পুলিশ সদস্য আসমা আক্তারকে দায়িত্ব কাজে অবহেলা ঘটনার রাতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই দায়িত্বে থাকা সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক জিসান আহম্মদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনানো হয়।