কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার, হাতিয়া : জেলার হাতিয়া পৌরসভার ওএমএস কেন্দ্রে ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা কিনতে করোনায় ও লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেকেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকার খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি করার জন্য হাতিয়া পৌরসভায় তিনজন ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। প্রতি ডিলারকে দৈনিক দেড় টন চাল ও এক টন আটা বরাদ্দ দেয়া হয়। এটা থেকে প্রতিজনকে দৈনিক ৫ কেজি চাল (৩০ টাকা দরে) এবং ৫ কেজি আটা (১৮ টাকা দরে) দেয়া হয়। কিন্তু যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
হাতিয়া শহর ওছখালী বাজারের ওএম এস ডিলার নবীর উদ্দিন জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৩শ’ জনের মধ্যে চাল ও ২শ’ জনের মধ্যে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। সকলে লাইনে দাঁড়িয়ে এ চাল ও আটা কিনছেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হাতিয়ায় লকডাউন ও করোনার কারণে খোলাবাজারে চাল ও আটা কেনার জন্য মানুষের যে ভিড় দেখা যাচ্ছে তাতে এ কার্যক্রম পৌরসভায় অব্যাহত রাখাসহ প্রতিটি ইউনিয়নেও চালু করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বরাদ্দের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় ওএমএস কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়
- সুবর্ণ প্রভাত
- আগস্ট ৩, ২০২১
- ২:৩৯ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুনঃ
- সর্বশেষ
- সর্বাধিক পঠিত
