কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার, হাতিয়া প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বৈরি আবহাওয়ার কারণে মেঘনা নদীতে দু’টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রলারে থাকা ১৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় ইউছুফ মাঝি (৫০) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন আবুল কালাম নামের আরও এক জেলে। এদিকে নদী উত্তাল থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাতিয়ায় সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল সামিয়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে মেঘনা নদীর ইসলাম চর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ইউছুফ মাঝি চানন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম আদর্শ গ্রামের হোসেনের ছেলে। নিখোঁজ আবুল কালাম একই এলাকার বাতেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে চানন্দী ইউনিয়নের চম্পা ঘাট থেকে ৭ জন জেলে নিয়ে মিরাজ উদ্দিনের একটি মাছ ধরার ট্রলার ও ইউছুফ মাঝির একটি ট্রলার আরও ৯ জন জেলেসহ মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান। রবিবার বিকালে চেয়ারম্যানঘাট-ভাসানচর এলাকার মধ্যবর্তী এলাকার ইসলাম চর এলাকায় প্রচন্ড বাতাসের কবলে পড়ে ট্রলার দু’টি।
এসময় ট্রলার দু’টিতে থাকা ১৪জন জেলে নিয়ে নদীতে ডুবে যায়। পরে পাশ্ববর্তী একটি ট্রলারের সহযোগিতায় ১৪জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ হন ইউছুফ মাঝি ও আবুল কালাম। সোমবার ভোরে স্থানীয় জেলেরা ইউছুফ মাঝির ট্রলারটি এবং ট্রলারের কেভিন থেকে ইউছুফের লাশ উদ্ধার করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ (বেলা ১১টা) মিরাজ উদ্দিনের ট্রলারের আবুল কালাম নিখোঁজ রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, নিহত জেলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারকে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলোকে স্ব-স্ব ঘাটে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।