নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালী শহর মাইজদীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াকালে গুলি ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় চারজন চারজনকে গ্রেফতার করেছে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ।
জানাযায়,গত রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা দাওয়া সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা সেই তরুন হচ্ছে সদর উপজেলার উত্তর কাদির হানিফের মৃত কামাল মুহুরীর ছেলে মো. রাফেজকে (২৮)। তিনি নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। মো. রাফেজ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিনের কর্মী। শিহাব উদ্দিন শাহিন এ বিষয়টি অস্বীকার করে দাবী করে বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্তা নেই।
আজ বৃহস্পতিবা
র জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তিনটি গ্রুপের গত সোমবার জেলা শহরে একই সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। এ কর্মসূচি সফল করার জন্য গত রবিবার বিকালে তিনটি গ্রুপের শোডাউন করাকালে এমপি একরামুল করিমের গ্রুপ, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেলের গ্রুপ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিনের গ্রুপ ত্রিমুখী ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে ৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় শিহাব উদ্দিনের এক কর্মী প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে প্রদর্শন করে । যার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
একই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অন্য তিনজন হলো জেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে মো. আবুল হায়াত রায়হান ওরফে খালাশী রায়হান (২৬), সদর উপজেলার পশ্চিম শুল্যকিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মো. ইউনুছ (৪০) এবং কাশিপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আমিন (৩৯)। জানাগেছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইউনুছ সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। অন্য দুইজন আওয়ামী লীগ কর্মী।
জেলা পুলিশ সূত্রে আরও জানানো হয়, অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার ভিডিও চিত্রটি ভাইরাল হওয়ার পর জড়িতদের শনাক্ত করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ চারজনকে আটক করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার বিকালে সাধারণ ডায়েরি মুলে তাদেরকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করে। এ ঘটনায় সুধারাম থানার এসআই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আটক ব্যক্তিদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।