নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে ১৪৪ ধারা ভেঙে স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষে তার কিছু সমর্থক মিছিল করা কালে পুলিশ বাধা দেয় । এক পর্যায়ে পুলিশ মিাছিলকারীদের লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আজ সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে শহরের টাউন হল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এমপি একরামুল করিমের ২০-৩০জন সমর্থক তার পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে প্রধান সড়কে আসলে পুলিশ ধাওয়া করে এবং লাঠি চার্জ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় এগারো জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে শহরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী।
এ দিকে দুপুর ১ টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সদর আসনের সংসদ সদস্য সমর্থিত নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্ন ভাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশী বাধায় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। কিছু কিছু দোকান পাট বন্ধ আছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট দায়িত্ব পালন করছেন। শহর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে এবং শহর এলাকায় পুলিশ ও র্যাব টহল দিচ্ছে। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে এবং নিয়ন্ত্রাধীন বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বিকাল সাড়ে তিনটায় পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, শহরের বিভিন্ন স্থানে এমপির সমর্থিতরা শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হলে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার সময় এগারো জনকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, আজ সোমাবার সকাল ১০ টা এমপির সমর্থকরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি বহাল রাখার পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে , পাশপাশি স্থান টাউনহল মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনের সমর্থকরা মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবং নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান পৌর ভবন এলাকায় পৌর নির্বাচনী প্রচারনার সমাবেশ ডাকে। এ নিয়ে তিন গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে শহরে উত্তেজনা চড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তিন গ্রুপের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় প্রশাসন আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে।