নিজস্ব প্রতিনিধি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) দিনব্যাপি নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বেলুন উড়ানো, আনন্দ শোভাযাত্রা , বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন, বৃক্ষরোপণ, কেক কাটা, শেখ হাসিনার কর্মের উপর ডকুমেন্টারী প্রদর্শন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ।
সকাল ১০ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসমসয় নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্ণার এর শুভ উদ্বোধন করেন ভিসি প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম । বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন শেষে লাইব্রেরি ভবনের সামনে বৃক্ষরোপণ করেন তিঁনি। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা: বাঙালির দেশরতœ, বিশ্ববাসীর ক্রাউন জুয়েল” প্রতিপাদ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশন ও প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়।
নোবিপ্রবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ভিসি প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম। বলেন, “এতো অল্প সময়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যে উন্নতি সাধন করেছেন, তা বিশ্ববাসীর সামনে একটি রোল মডেল হিবেসে চিহ্নিত হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন সহ এনার্জি সেক্টর এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভুতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্যের কারণে আজ জাতিসংঘ তাঁকে সম্মান জানাচ্ছে। এসডিজি অগ্রগতি পুরষ্কারে ভূষিত হওয়া এই সাফল্যেরই ধারাবাহিকতা। যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন অর্জন সাধিত হচ্ছে। দারিদ্র বিমোচনে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা অনন্য। আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে থাকা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে তিঁনি মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়”। বক্তব্যে উপাচার্য প্রধানমন্ত্রীর সুসাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সহ-সভাপতি ড. মো: আনিসুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. মাজনুর রহমান, নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম হোসেন, আইআইএস এর পরিচালক ড. ফিরোজ আহমেদ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেজবা উদ্দীন পলাশ, সদস্য মো: মহিউদ্দিন, কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন টিটু চন্দ্র দাস, ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম নাঈম ও রিয়াজ হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নোবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক বিপ্লব মল্লিক। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলসমূহের প্রভোস্ট, দপ্তরসমূহের পরিচালক, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতাসহ ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করেন। পরে বাদ যোহর নোবিপ্রবি কেন্দ্রিয় মসজিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজন করা হয়। এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের শাখা কর্মকর্তা রাহয়ান কায়সার হাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।