বর্ণিল সাহিত্যে নোয়াখালী

Shuborno Provaat - সুবর্ণ প্রভাত
সিরাজুল ইসলাম মুনির

সিরাজুল ইসলাম মুনির : লেখকরা হলেন একটি জাতির আত্মার স্পন্দন। মানুষের অগ্রযাত্রায় ইতিহাসের কোন সন্ধিক্ষণে সৃষ্টি হয়েছে সেইসব শব্দমালার যা সাহিত্য বলে বিবেচিত, তার কোনো সময়বৃত্ত নেই। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসও তার ব্যতিক্রম নয়। কিশোর রবীন্দ্রমানসে সাহিত্য প্রস্ফুটিত হয় ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’র মাধ্যমে। ততদিনে বাংলা সাহিত্য অনেকদূর এগিয়েছে। কিন্তু সবকিছুকে পেছনে ফেলে ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ই শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পঠিত সাহিত্যের জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে। নোয়াখালী জেলায় জন্ম গ্রহণকারী লেখকদের মধ্যেও অনেকেই চলমান সাহিত্যযাত্রার কোথাও না কোথাও তাদের জায়গা করে নিয়েছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত জাহিদুল গণি চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সম্পাদিত নোয়াখালী জেলার লেখক অভিধান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলা সাহিত্যের অনেক প্রধান প্রধান লেখক জন্মসূত্রে কিংবা পৈতৃক নিবাসের সূত্রে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার অধিবাসী। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (১৯২২-১৯৭১), শহীদুল্লাহ কায়সার (১৯২৬-১৯৭১), জহির রায়হান (১৯৩৩-১৯৭১), জহুর হোসেন চৌধুরী (১৯২২-১৯৮০), গাজীউল হক (১৯২৯-২০০৯), সেলিম আল-দ্বীন (১৯৪৯-২০০৪), ওবায়েদ উল হক (১৯১১-২০০৭), বেলাল চৌধুরী, সেলিনা হোসেন, হোসনে আরা শাহেদ। কেবল নতুন সীমানায় চিহ্নিত নোয়াখালী জেলার উল্লেখযোগ্য কয়েকজন লেখক হলেনÑ আব্দুল হাকিম (১৬২০-১৬৯০), মাখন লাল রায় চৌধুরী (১৯০০-১৯৬২), মুজাফফর আহমদ চৌধুরী (১৯২০-১৯৭৮), হবিবুর রহমান (১৯২১-১৯৭১), মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (১৯২৩-১৯৭১), আবদুর রশীদ ওয়াসেকপুরী (১৯১৬-২০০৬), কবীর চৌধুরী (১৯২৩-২০১২) মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১), ড. আবদুল কাদের (১৯০৮-১৯৯৩) ও আবদুস শাকুর।
এখানে একথা বলাও প্রয়োজন যে কেবল কবি-লেখক-সাহিত্যিকই নন, বৈজ্ঞানিক, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রধান বিচারপতি, পত্রিকা সম্পাদক, চলচ্চিত্রকার, নাট্যকার, শিল্পী, গায়ক, গবেষক, ধর্মতত্ববিধ, সমাজচিন্ত্যকদের জন্ম হয়েছে উর্বর মাটির এই জেলায়। দেশের অর্থনীতিতেও প্রায় ৩০% শতাংশ অর্থের যোগান আসে বৃহত্তর নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণকারী শিল্পপতি ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্যে।
প্রকৃতির এক অপরূপ রূপবতী কন্যা নোয়াখালী। নারকেল বিথী, সুপারি বাগিচা, সবুজ পত্রপল্লব আর নানাবর্ণ ফুলফল শোভিত বৃক্ষরাজি, গুল্মগুচ্ছ, পাখির কুজন, রূপালি ফিতার মতো জলভরা নদী আর খালÑ এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন এখানকার কবি লেখকদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে, একই সঙ্গে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, গোর্কি এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকও তাদের সাহিত্যের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। সমুদ্রশাসিত জেলা নোয়াখালী। প্রায় ৪০০ বছর যাবৎ সমুদ্রের ভাঙন আর পত্তনের খেলার সঙ্গী এই জেলার মানুষরা। একদিকে তাদের ভীত-বিহ্বল বেদনাবিধুর জীবন, অন্যদিকে অসম সাহসী লড়াকু জীবন। সমুদ্রের বিশাল ঢেউ যেমন একদিকে ভুজঙ্গের মতো ফণা তুলে ছোবল মেরেছে এই জনপদে, তেমনি শত শত বছর ধরে পর্তুগীজ, ব্রিটিশ, ওলন্দাজ এসব বিদেশী জলদস্যু আর হার্মাদরা আক্রমণ করেছে, কিন্তু এই বীরজাতি বারবার তাদের পর্যুদস্ত করেছে। সন্দ্বীপের ‘দেলালরাজার ইতিহাস’ আমাদের অবিদিত নয়। এসব বিষয়ও এখানকার লেখকদের লেখায় পরিস্ফুটন হয়েছে। শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সারেং বউ’, সানাউল্লাহ নুরীর ‘নিঝুমদ্বীপের উপাখ্যান’, সেলিনা হোসেনের ‘জলোচ্ছ্বাস’, সিরাজুল ইসলাম মুনিরের ‘আবর্ত’, ‘রক্তেভেজা অববাহিকা’ অথবা ‘তার ফিরে আসা’, কামাল উদ্দীন আহমেদের ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’, বিভূতিভূষণ গুপ্তর ‘স্রোত ও আর্বত’, আফলাতুন (সন্দ্বীপ)-এর ‘এক অলৌকিক পাখি’ প্রভৃতি উপন্যাস সাহিত্যে কাল-জাগার হয়ে ফেলে আসা ইতিহাসেরও অবিচ্ছেদ্য বর্ণনা হয়ে থাকবে।
কেবল নোয়াখালী নয়Ñ বাংলাদেশের গৌরব, বাংলা ভাষাভাষী পৃথিবীর সকল মানুষের অহংকার, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী কবি আবদুল হাকিমের (১৬২০-১৬৯০) নাম প্রথমেই সগৌরবে উচ্চারণ করতে হয়। প্রায় ৪০০ বছর আগেই তিনি অনুধাবন করেছিলেন মাতৃভাষা একটি জাতির জীবনে কি অপরিহার্য সম্পদ। ‘নুরনামা’ কাব্যে তিনি লিখেন “যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী/ সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় না জানি/দেশি ভাষা বিদ্যা যার মনে’ন জুরায়/ নিজ দেশ ত্যাগী বিদেশে ন যায়।” এরপর অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল বারী কবিরত্ন (১৮৭২-১৯৪৪)। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি কবিরত্ন সম্মানে ভূষিত হন। শ্রী দিনেশ চন্দ্র সেন রায়বাহাদুর কর্তৃক পূর্ববঙ্গ গীতিকায় সংকলিত হয়েছে ‘চৌধুরীদের পালা’। অষ্টাদশ শতাব্দীতে জমিদার রামচন্দ্র চৌধুরী আর রঙ্গমালার ট্র্যাজিক প্রেমের এই দীর্ঘ পালা রচনা করেন কবি বছনিয়া শেখ। চাঞ্চল্যকর কিংবা মর্মান্তিক কোনো ঘটনার সূত্রে রচিত আট পাতার ছয়টি কবিতার বই ছেপে সারাদেশের গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে অথবা শহরের উপকন্ঠে শত শত শ্রোতার সামনে আবৃত্তি করতেন এ জেলার চারণ কবিরা। গত শতকে অন্য অনেকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুইজন চারণ কবির নাম হচ্ছে নুরুজ্জামান (বেগমগঞ্জ) ও আবু তাহের (চরজুবলি)।
কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, শিশুতোষ, প্রবন্ধ, গবেষণা, সঙ্গীত, চিত্রকলা, দর্শন, সৃজনশীল অনুবাদÑ বলতে গেলে সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় বিচরণ করেছেন দুইজন কীর্তিমান বহুমাত্রিক বহুপ্রসূ লেখক। এরা হলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ও আবদুস শাকুর। কবীর চৌধুরীর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ২শ’র ওপরে, আর আবদুশ শাকুরের রচনার সংখ্যা প্রায় ১০০।
ধর্মীয় গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে এই জেলার মুসলিম লেখকদের পাশাপাশি হিন্দু লেখকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাদের রচনায় ধর্মের অনেক মৌল বিষয় আলোচিত হয়েছে এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা তাদের রচনাকে সমৃদ্ধ করেছে। লেখকদের মধ্যে রয়েছেন জয়চন্দ্র সিদ্ধার্থ ভূষণ (১৮৪৯-১৯২৩) নগেন্দ্র কুমার গুহ রায় (১৮৮৯-১৯৭৪) রাধা গোবিন্দ নাথ (জন্ম ১৮৭১——), নুর মোহাম্মদ আজমী (১৯০০-১৯৭২), আবুল হাসনাত মোহাম্মদ আবদুল হাই (১৯০১-১৯৮৩), মোঃ নুরুল্লাহ সাহেব (র.) (১৯০৮-১৯৭২), মোহাম্মদ আবদুল আজীজ (১৯১৬-২০০৯), আনম রইছ উদ্দিন, আবদুল ওয়াহিদ, আবদুল ওয়াজেদ ও এ এস এম আব্দুর রহীম।
প্রবন্ধ, রাজনৈতিক নিবন্ধ, অর্থনীতি, সমাজনীতি এবং সাহিত্যবিষয়ক গবেষণা, নাটক, চিত্রকলা, কৃষি, বিজ্ঞান, মুক্তিযুদ্ধ এসব নানা বিষয় নিয়ে লিখেছেন অন্ততঃ ৫০ জন লেখক। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন লেখক হলেনÑ আমিনুল ইসলাম চৌধুরী (১৯১৩-১৯৫৮), মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (১৯২৬-১৯৭১), আবুল হোসেন মাহমুদ (১৯৫৩-১৯৯৫), বদরুল হায়দার চৌধুরী (১৯২৫-১৯৯৮), সিরাজুল আলম খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ওবায়দুল কাদের, রওনক জাহান, রওশন জাহান, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল মতিন, গোলাম রব্বানী, এম. আনোয়ারুল আজীম, ধীরাজ কুমার নাথ, মাহবুুব উল্লাহ্, মাহফুজ উল্লাহ্, মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, সিরাজুর রহমান, ড. সা’দত হোসাইন, ভূঁইয়া ইকবাল, মহীবুল আজিজ, মঈন উ আহমেদ, গোলাম কুদ্দুস, ফরহাদ মজহার, দিদারুল ইসলাম, মোকাররম হোসেন, মোঃ ওসমান গণি, কুলসুম মজুমদার, আতাউর রহমান, প্রত্যয় জসীম, আহমদ ইমতিয়াজ বুলবুল, অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কালাম আজাদ, সফিক উল্লাহ, মুহাম্মদ আবু তাহের মীর্জা, ফখরুল ইসলাম ও জোবায়দা নাসরিন প্রমুখ।
কথাসাহিত্য বিশেষতঃ উপন্যাস, ছোটগল্প, রোজনামচা, আত্মকথন, শিশুতোষ সাহিত্য রচনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেনÑ মেসবাহুল হক (১৯২৭-২০০৯), আবদুল মতিন, আবদুশ শাকুর, প্রণবভট্ট (১৯৫০-২০০৭), সিরাজুল ইসলাম মুনির, শাহজাহান কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মহীবুল আজিজ, সালাদীন, শাহানা সিরাজী, শাহানারা স্বপ্না, রুহুল আমিন বাচ্চু, আবু নাছের টিপু, মিরন মহিউদ্দীন, রায়হানা হোসেন, লিলি রহমান, রওশন সালেহা, আবু নাছের টিপু, রেজিনা সুলতানা, রাজিয়া খাতুন চৌধুরানী, রাজিয়া বেগম, শামা আরজু ও সিরাজুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।
নোয়াখালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য আর এখানকার মানুষের জীবনাচরণ নিয়ে কাজ করেছেন বেশ কয়েকজন গবেষক। এদের মধ্যে প্যারী মোহন সেনগুপ্ত (১৮৪২-১৯২৭), খালেদ মাসুকে রসুল (১৯৪৪-১৯৯৫), মোহাম্মদ হাশেম, এ কে এম গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ ও এ এস এম ইউনুছ উল্লেখযোগ্য।
সাহিত্যের মর্মমূলে বসবাস করে কবিতা। কবিতা হলো সহিত্যের পরিশীলিত রূপ। ৪০০ বছর আগেই এই জনপদের একজন কবি আবদুল হাকিম লিখেছিলেন তার অমর কবিতা, ‘যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী’। ‘ইউসুফ-জুলেখা’, ‘লালমতি সয়ফুল মুলক’, ‘সিহাবুদ্দিননামা’, ‘নুরনামা’, ‘নসিহতনামা’, ‘চারিমোকামভেদ’, ‘কারবালা’, ‘শহরনামা’, ‘হানিফার লড়াই’ এসব অসাধারণ সব কাব্যগ্রন্থ তিনি রচনা করেছিলেন। কবিতার সেই যাত্রা আজো অব্যাহত আছে। সাম্প্রতিককালের কবিদের তালিকাও অনেক দীর্ঘ। তাদের মধ্যে অনেকেই গদ্যচর্চার সঙ্গেও যুক্ত। উল্লেখযোগ্য কবিরা হলেনÑ কে জি মোস্তফা, ফরহাদ মজহার, আবু করিম, আবুল বাশার, আবুল কালাম আজাদ, কামাল উদ্দিন আহমেদ, মোঃ হাশেম (গীতিকার), আবু হেনা আবদুল আউয়াল, প্রত্যয় জসীম, স্বপন দেলোয়ার, বদরুল হায়দার, মুর্শিদ উল আলম, নাহিদ রোকসানা, মিন্টু সারেং, শিরিন আক্তার, জামাল হোসেন বিষাদ, মাসুম রেজা তরু, হাবীব ইমন, লায়লা কাওকাইন আরা, মশিউর রহমান মিঠু, প্রণব আচার্য্য, শহীদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক শ্রী গোপাল হালদার নোয়াখালীর সন্তান। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হবার পর তিনি স্বপরিবারে ভারতে চলে যান।
লেখক : কথাসাহিত্যিক

শেয়ার করুনঃ

1,458 thoughts on “বর্ণিল সাহিত্যে নোয়াখালী”

  1. জনাব জাহিদুল গনি সম্পাদিক নোয়াখালী জেলার লেখক অভিধান এ নোয়াখালীর কিছু লেখক আছেন,যারা নোয়াখালীতে অবস্থান করেন এবং লেখালেখি করেন। এঁদের কথা অনেকে উল্লেখ করতে চান না। যাঁরা জাতীয়ভাবে পরিচিত, তাদের নাম উল্লেখ করতে বেশ আগ্রহ বোধ করেন।
    তবে অপরিত, নোয়াখালীতে বসবাসকারী লেখকের কথা বলবেন কের?

  2. ফটো ক্যাপশন থেকে শুরু করে লেখার ভেতরেও কোনো কোনো লেখকের নামের বানান ভুল রয়েছে।
    বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামের বানান সঠিক রাখা উচিত।

  3. Today, I went to the beach with my kids. I found a sea shell and gave it
    to my 4 year old daughter and said “You can hear the ocean if you put this to your ear.”
    She placed the shell to her ear and screamed. There was a hermit crab inside and it pinched her ear.
    She never wants to go back! LoL I know this is completely off topic but I had to tell someone!

    Have a look at my blog – eharmony special coupon code 2024

  4. The viruses pass through the air and enter your body through your nose or mouth.
    Your doctor should know your history before you rx relief pharmacy at specially reduced prices
    Your health care provider will find out how severe your depression is mild, moderate, or severe and look for the cause by doing a:You will talk with the health care provider about the issues and events that may be causing your depression.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

    রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫
    ১৬১৭১৮১৯২০২১২২
    ২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
    ৩০৩১