সুবর্ণ স্বাস্থ্য কর্ণার ডেস্ক : গাছের পাতা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে তা আমাদের অনেকেরই ধারনায় নাই, গাছের পাতা দেয় অনেক রোগ থেকে মুক্তি -গাছ-গাছালির পাতাকে আমরা অনেকেই অবহেলা করি। কিন্তু এসব গাছ-গাছালির পাতার রয়েছে অনেক গুণ। আজ আমরা আম পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করবো।
বেশ কিছু রোগকে দূরে রাখতে আম পাতার কোনও বিকল্প নেই। এই প্রকৃতিক উপাদানটির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, বি, এ এবং আরও সব উপকারি উপাদান মানব শরীরকে ভেতর থেকে এতটাই শক্তিশালী করে তালে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই তো এই শীতে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে আমের সন্ধান না পেলেও আম পাতাকে কাজে লাগাতেই পারেন!
আম পাতার ভেতর আরেকটি উপকারি উপাদান থাকে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে অ্যান্টিঅ্যাক্সিডেন্ট নামে পরিচিত। এই উপাদানটি ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আর অপেক্ষা না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন আম পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে কী কী উপকার মেলে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম পাতার ভূমিকা অন্যতম। এর মধ্যে থাকা টেনিনস নামক এক ধরনের উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার সুযোগই পায় না। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আম পাতা নিয়ে সেগুলিকে শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পাউডার যে কোনও কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করলেই অসাধারণ উপকার। এছাড়া এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো আম পাতা চুবিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরেরদিন সকালে পানিটা ছেকে নিয়ে পান করুন।
এমনটা যদি কয়েকদিন করতে পারেন, তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ে যে আর কোনো চিন্তাই থাকবে না। আম পাতার মধ্যে থাকা হাইপোটেনসিভ প্রপাটিজ শরীরে প্রবেশ করার পর ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতাকে এতটা বাড়িয়ে দেয় যে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহে উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রক্তচাপও স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাই যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস রয়েছে, তারা আম পাতাকে কাজে লাগিয়ে এই রোগকে দূর রাখতেই পারেন। নিয়মিত গোসলের পানিতে কয়েকটি আম পাতা ফেলে গোসল করলে মানসিক চাপ তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীর এবং মন এতটা তরতাজা হয়ে ওঠে যে অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।
কিডনির পাথর চিকিৎসায় আম পাতাবিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে, নিয়মিত এক গ্লাস পানিতে আম পাতার গুঁড়ো ফেলে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে সেই পানীয় খেলে স্টোনের প্রকোপ কমে দ্রুতই। তাই আপনিও যদি এমন কোনও রোগে ভুগতে থাকেন, তাহলে নিশ্চিন্তে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো আম পাতা এবং মধু মিশিয়ে সেই পানি ফুটিয়ে যদি খেতে পারেন, তাহলে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা এবং সর্দি-কাশির মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময়ের ব্যপার মাত্র। শীতকালে ঠান্ডা লেগে কানে যন্ত্রণা হওয়ার ঘটনা প্রায়ই হয়ে থাকে।
তাই তাপমাত্রা কমার আগে প্রয়োজন মতো আম পাতা সংগ্রহ করে নিন। আসলে এক চামচ আম পাতার রস, একটু গরম করে যদি কানে দেওয়া যায়, তাহলে এই ধরনের সমস্যা কমতে একেবারে সময়ই লাগে না। পরিমাণ মতো আম পাতা নিয়ে এক গ্লাস গরম পানি ফেলে দিন। তারপর সেই জলটি সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে খালি পেটে এই মিশ্রনটি পান করলে হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বেরিয়ে গিয়ে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে ঘটতে সময় লাগে না।
বেশ কিছু রোগকে দূরে রাখতে আম পাতার বিকল্প নেই
- সুবর্ণ প্রভাত
- সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
- ১২:৫২ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুনঃ
আজ পবিত্র শবে-বরাত
•
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
কোম্পানীগঞ্জে মসজিদে ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
•
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
সেনবাগে দুই যুবলীগের কর্মী গ্রেফতার
•
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫