নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার কালে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই কাঠের নৌকা ডুবির ঘটনায় গতকাল সোমবার আরো ৩ মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত দুই দিনে এক শিশুসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি গতকাল সন্ধ্যায় নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, নিহত ৩ মহিলার মধ্যে লায়লা বেগম (২৫) নামের এক মহিলার পরিচয় পাওয়া গেছে। সে ভাসানচর আশ্রয় কেন্দ্রের ৫৩ ক্লাস্টারের এল ৬নং কক্ষের বাসিন্দা বশির আহম্মদের স্ত্রী। অন্য দুইজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগের দিন রবিবার আবদুল হাফেজ (১০) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে ভাসানচর আশ্রয় কেন্দ্রে প্রকল্প ৩ এর ৫৪ ক্লাস্টারের কে/ ৭নং কক্ষের বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে ।
পুলিশ সুপার আরো জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাসানচর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রাম জেলার বঙ্গোপসাগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে ৩০-৪০ জন রোহিঙ্গা ছিল। পরদিন শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ জন রোহিঙ্গা জীবিত উদ্ধার হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে ডুবে যাওয়া কাঠের বোটটির অবস্থান সনাক্ত করে উদ্ধার করার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা শুরু করে । এপর্যন্ত ৪ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে । তবে ধারণা করা হচ্ছে আরো ২০-২১ জন রেহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে।