নিজস্ব প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার কালে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই কাঠের নৌকা ডুবির ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার আরো দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে ১৩ জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও তিন মহিলা ও এক জন পুরুষের রয়েছে।
গতকাল রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম জানান, মৃতদেরকে ভাসানচরে দাফন করা হযেছে। সাগরে উদ্ধার কাজ অব্যহত রয়েছে। ওই দিন নৌকা ডুবির সময় ৪৩ রোহিঙ্গা ছিলো বলে জানা গেছে। ভাসানচর থেকে পালানো রোহিঙ্গা ও নৌকার মাঝির বিরুদ্ধে গতকাল ভাসানচর থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এ দুঘটনায় কয়জন নিখোঁজ তার সঠিক হিসাব এখনো পাওযা যায়নি। পুলিশ প্রশাসনের হিসাব অনুয়ায়ী জীবিত উদ্ধার ১৫ জন এবং মৃত ১৩ জনসহ মোট ২৮ জন। ধারণা করা হচ্ছে এখনো আরো ১৩ থেকে ১৫ জন রেহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ আগষ্ট)রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাসানচর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রাম জেলার বঙ্গোপসাগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার সকাল থেকে ডুবে যাওয়া কাঠের বোটটির অবস্থান সনাক্ত করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর ও কোষ্টগার্ড সদস্য দুর্ঘটনা এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা শুরু করে আসছে ।