নিজস্ব প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার কালে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই কাঠের নৌকা ডুবির ঘটনায় আজ বুধবার আরো একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত চারদিনে ১২জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭জন শিশু ও তিন মহিলা ও পুরুষের পরিচয় জানা গেছে।
আজ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম জানান, মৃতদেরকে ভাসানচরে দাফন করা হযেছে। উদ্ধারকৃত এক জনের পরিচয় এখনো নিশ্চত হওয়া যায়নি। সাগরে উদ্ধার কাজ অব্যহত রয়েছে। ভাসানচর থেকে পালানো রোহিঙ্গা ও নৌকার মাঝির বিরুদ্ধে ভাসানচর থানা একটি মামলা দায়ের করা হযেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ আগষ্ট)রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাসানচর থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রাম জেলার বঙ্গোপসাগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে ৩০-৪০ জন রোহিঙ্গা ছিল। পরদিন শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ জন রোহিঙ্গা জীবিত উদ্ধার হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে ডুবে যাওয়া কাঠের বোটটির অবস্থান সনাক্ত করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা শুরু করে । এ দুঘটনায় কয়জন নিখোঁজ তার সঠিক হিসাব এখনো পাওযা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এখনো আরো ১৩-১৪ জন রেহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে।