রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল হেলথ্ কার্ড বিতরণ ও হেলথ্ স্ক্রিনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিম চরসীতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। “মুজিব শতবর্ষ” উপলক্ষে এসডিজি-৩ (টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট) অর্জনে ‘সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করণের’ লক্ষ্যে এ সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এবং চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ ভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ এর পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে এই স্কুল হেলথ্ কার্ড ও হেলথ্ স্ক্রিনিং কার্যক্রম চালু করেন।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ. আবুল হাসনাত খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ অনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল গাফ্ফার, জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম. অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) মেহের নিগার, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ, রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম আমির ফয়ছল, রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক, চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম প্রমূখ। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীদের মাঝে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্কুল হেলথ্ কার্ড বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুর জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল হেলথ্ কার্ড বিতরণ করা হবে ।
হেলথ্ কার্ডের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বয়স, উচ্চতা, ওজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিগত অবস্থা, শারীরিক সমস্যা, দৃষ্টি পরীক্ষা, রক্তশূন্যতা, পালস্ ও হার্টবিটসহ সামগ্রিক বিষয় উল্লেখ থাকবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা কার্ডের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবেন।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসাইন আকন্দ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্কুল ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম রয়েছে। ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা’ প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরাও তা শুরু করেছি। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, সে জন্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্মীপুরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী স্কুল হেলথ্ কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পাবেন। এই কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারিরীক অবস্থা যাচাই করা হবে। তাদের শারীরিক এবং পুষ্টিকর বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সেগুলো স্বাস্থ্য কার্ডে লিপিবদ্ধ থাকবে। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।