মো. আবদুল মালেক, লক্ষীপুর প্রতিনিধি
ঈদের ছুটিতে লক্ষীপুরে ইসলামী ব্যাংকের একটি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা বন্ধ সুযোগে টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে ওই শাখার ভেতরে প্রবেশ করে একদল ডাকাত।
ব্যাংকের ভল্টের তালা সু-কৌশলে খুলে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। গত ১৯ জুলাই ল²ীপুর সদর উপজেলার বাইশমারা ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা এঘটনা ঘটে। ডাকাতরা এ ঘটনা করে থেমে থাকেনি। তারা ডাকাত দলের পরিচয় দেয়ার কথা বলে ওই শাখার মালিককে ফোন করে আরো ২০ লক্ষ টাকা দাবীও করে । এমন ঘটনায় ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে লক্ষীপুর র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ টাকাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, লক্ষীপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের মো. মাঈন উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরপে বাবু (২২), মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মো. মাঈন উদ্দিন (৫৮), নুর হোসেনের ছেলে রিয়াজ (২৪), সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আবদুর নুর ভ‚ঁইয়ার ছেলে মো. রাসেল হোসেন (৩১)। শনিবার দুপুরে র্যাব-১১ লক্ষীপুর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর লক্ষীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন।
র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে উত্তর তেমুহনী এলাকা থেকে ডাকাত দলের সদস্য রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভোর রাতে ল²ীপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডস্থ আলার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির মূল হোতা আনোয়ার হোসেন বাবু ও তার বাবা মাঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এক পর্যায়ে তাদের ঘর তল্লাশি করে নগদ ১৩ হাজার টাকাসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি হাতুড়ি, হেস্ক বেল্ট, স্ক্রু ড্রাইভার, কিরিচ, চাপাতি, চুরি ও প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা আদায়ের কাজে ব্যবহৃত দুটি সীমসহ একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। পরে আনোয়ার ও তার বাবা মাঈন উদ্দিনের স্বীকারোক্তি মতো একই বাড়ি থেকে অপর ডাকাত সদস্য রিয়াজকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, লক্ষীপুরের বাইশ মারা ইসলামী ব্যাংকের এজেন্টে ব্যাংকিং শাখার প্রোপ্রাইটর রেজাউল করিম ঈদের ছুটিতে শাখাটির কার্যক্রম বন্ধ করে যান । ওই দিন ( ১৯ জুলাই ) রাত ১০টার দিকে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ও অপর ডাকাত দলের সদ দের া যোগসাজসে শাখাটির দক্ষিণ পাশে টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সিন্দুক খুলে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ০১৮৭৮৮৫২৯০২ নাম্বার থেকে ফোনে ডাকাতদের পরিচয় দেয়ার কথা বলে শাখাটির মালিকের নিকট ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও অপর ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। তিনি।