মো. আবদুল মালেক,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃলক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, আমরা আজ হয়তো একটি জলাশয় পরিষ্কার করছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অঙ্গীকার করছি যে, লক্ষ্মীপুরকে জঞ্জালমুক্ত করার জন্য, পরিষ্কার করার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সবাই মিলে তা করব।
লক্ষ্মীপুরকে সমৃদ্ধ নগরী হিসেবে রূপান্তর করতে হবে। এজন্য একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। বন্যা কিংবা বন্যার সময় ছাড়া এখানে জলাবদ্ধতার কারণে কোনো ধরনের সংকট বা দুর্ভোগ যেন পোহাতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্যও সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা পেলে আরও বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রহমতখালী খাল পরিষ্কার অভিযানের উদ্বোধনকালে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার এসব কথা বলেন।
পৌরসভার মাদাম ব্রিজ এলাকাসহ পৌরসভার ১৩টি স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে একযোগে রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ পৌরসভাতে নদী ও খাল পরিষ্কারের অভিযান চলছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, যতই প্রতিকূলতা থাকুক, সবার সমন্বয়ে লক্ষ্মীপুরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই। বন্যা পরিস্থিতি, বন্যার দীর্ঘসূত্রিতা কিংবা জলাবদ্ধতা কিংবা দীর্ঘদিন ধরে বন্যার পানি জমে থাকার বড় কারণ হচ্ছে এখানে পানির অবাধ প্রবাহ নষ্ট হয়ে যাওয়া। এখানে বিভিন্নভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। রয়েছে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ও মানবসৃষ্ট প্রতিকূলতা। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েও অনেক প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা সবকিছু পরিষ্কার করতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক, সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি লক্ষ্মীপুর ইউনিট সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেন ফারুক প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন নদী ও খালসমূহের পানিপ্রবাহের প্রতিবন্ধকতা নিরসনকল্পে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্যােগে নেয় জেলা প্রশাসক। অতিবৃষ্টিজনিত বন্যা প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বন্যার দীর্ঘস্থায়িত্ব হ্রাসের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অভিযানটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই অভিযানে জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহযোগিতা করে।
প্রসঙ্গত, আগস্টের প্রথম দিকে লক্ষ্মীপুরে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম বন্যা দেখা যায়। পরে গত ২২ আগস্ট নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরে ঢুকতে শুরু করে। ফলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার দশ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এখনও সদরের পূর্বাঞ্চল, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
লক্ষ্মীপুরকে জঞ্জালমুক্ত করার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সবাই মিলে তা করব : লক্ষ্মীপুরের ডিসি
- সুবর্ণ প্রভাত
- সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
- ৩:১৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুনঃ
তারেক রহমানের কথায় মানুষ ভরসা করছে : এ্যানি
•
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
চাটখিলে বইমেলার উদ্বোধন
•
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
- সর্বশেষ
- সর্বাধিক পঠিত

4 thoughts on “লক্ষ্মীপুরকে জঞ্জালমুক্ত করার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সবাই মিলে তা করব : লক্ষ্মীপুরের ডিসি”
My family alll thee timee saay that I am wasting my ttime hesre aat web,
however I knjow I am getting experience evferyday by readiing such nice articles
or reviews.
Informative article, just whatt I needed.
how to buy priligy in usa The detection time is listed at 3 months for the Enanthate ester and 4 weeks for the propionate ester
I couldn’t refrain frim commenting. Welll written!