নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা হোসেনের উপর গুলি ও মারধরের অভিযোগে এনে প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ আহত যুবলীগ কর্মীর পরিবারের সদস্যরা। এর আরে দিন বিকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুককে প্রধান আসামি করে ১০জনের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে চরজব্বার ইউনিয়নের চেউয়াখালী বাজারে মানবন্ধন ও এক সংবাদ সম্মেলনে করেন এলাকাবাসী ও আহত যুবলীগ নেতার পরিবার। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, চরজব্বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুকের নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মী মোঃ হোসেনকে গুলি ও নির্যাতন করা হয়েছে। তারা এর সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে চেউয়াখালী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ মানিক, যুবলীগ সভাপতি বদিউল আলম, জামাল উদ্দিন, সাবেক মেম্বার সিরাজ, ও জিউল্যাহ, ছেরাজলহক এবং যুবলীগ নেতার পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, তার এলাকায় চুরি ডাকাতিও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে মিথা অভিযোগ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন গ্রামে চুরি ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে তার ইমেজ নষ্ট করার জন্য।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজমারা গ্রামের ছেওয়াখালী বাজারে চোর সন্দেহে মোহাম্মদ হোসেন নামের একজনকে স্থানীয় লোকজন ধরে গনপিটুনি দেয় । আমি তাকে উদ্ধার করে চৌকিদার দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই। পরে নূরনবী মেম্বার ও শাহজানের নেতৃত্বে তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় এবং জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। হোসেনকে যুবলীগ নেতা সাজিয়ে আমি গুলি করেছি বলে অপপ্রচার চালায়। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে চোর সন্দেহে মোহাম্মদ হোসেন নামের একজনকে গনপিটুনি দেয় স্থানীয়রা এটিই সত্য ।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) দেব প্রিয় দাস জানান, মোহাম্মদ হোসেনকে মারধর করার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুককে প্রধান আসামি করে ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হোসেনের বাবা। মামলাটি তদন্তাধীন বলে জানান তিনি।