সুবর্ণচরে হাতপা বেঁধে গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার-৪

আব্দুল বারী বাবলু ,সুবর্ণচর প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় হাত-পা বেঁধে ৩ সন্তানের জননী শারমিন আক্তারকে (৩০) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর পুলিশ রাতেই ৪ অভিযুক্ত গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্ব চরবটা ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের চরমজিদ গ্রামের আব্দুল হাদির বাড়িতে ভিকটিমের শশুর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নির্যাতিতার স্বামী নুর নবী,ভাশুর শেখ ফরিদ ও তার ছেলে সাইফুল হাসান,এবং ননদ ছাহেরা খাতুন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ১২ বছর আগে পারিবারিক ভাবে একই ওয়ার্ডের নূর নবীর সাথে তার বিয়ে হয় শারমিন আক্তারের । স্বামী শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে বিভিন্ন বাসাবাড়ি কাজ করে প্রতিবন্ধী স্বামীর সংসার চালাতো। তার এক মেয়ের হার্টের সমস্যা থাকায় ৫০ হাজার টাকা দরকার ছিল। এজন্য সে স্থানীয় কয়েকটি বাজারে ভিক্ষা করে ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করে । মাঝে মাঝে তার বাড়ি ফিরতে দেরী হলে স্বামী প্রায় গালমন্দ করত। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে কিছু দিন আগে কাজের ঢাকা চলে যায় শারমিন। পরে স্বামীর পরিবারের লোকজনের কথায় গত ১৩ আগস্ট রাতে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর আমার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন সাভমীর পরিবারের লোকজন।। ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে কথা শারমিনের সাথে কাটাকাটির একপর্যায়ে তার স্বামী নুর নবী, শ্বশুর আব্দুল হাদি, জা কুলসুমা, নার্গিস, ভাসুর শেখ ফরিদ, ভাসুরের ছেলে সাইফুল হাসান, ভাগনে রাসেল ও তার বোন ছাহেরা খাতুন আমার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত স্বামী নুর নবী জানান, আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে আমার অবাধ ছিল্য। সেই কিছুদিন পর পর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। কিছুদিন পর আবার বাড়িতে ফিরে আসে। সামাজিকভাবে আমরা মুখ দেখাতে পারছি। এ নিয়ে তাকে বকা ঝকা করলে সে আত্মহত্যা করতে যায়। তখন আমি নিরুপায় হয়ে বৃদ্ধ বাবার সাহায্যে নিয়ে তাকে বেঁধে তার পরিবারের লোকদের খবর দেই। তারা এসে ভিডিওটি করে ও ঘটনার একমাস পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি আমরা পারিবারিক সামাজিকভাবে মিমাংসা করেছিলাম।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে অভিযুক্তদের রাতেই আটক করা হয়। ।এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

    রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
    ১০১১১২১৩১৪
    ১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
    ২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
    ২৯৩০৩১