খোরশেদ আলম, সেনবাগ
নোয়াখালীর সেনবাগ পৌর শহরের ওএমএসের কেন্দ্র্র গুলো থেকে নায্য মূল্যে চাল ও আটা কিনতে সাধারণ কর্মহীন মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে করোনা মহামারী ও টানা লকডাউনের শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষরা নায্য মূল্যে চাল ও আটা কিনতে ভিড় জমায়। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেক মানুষ চাল বা আটা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অবস্থা বিবেচনায় সেনবাগ পৌর এলাকায় আরো ডিলার বাড়ানো প্রয়োজন রয়েছে বলে খাদ্য কর্মকর্তা অভিমত প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সেনবাগ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সলেহ উদ্দিন আজ বিকালে জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি করার জন্য ২৫ জুলাই থেকে সেনবাগ পৌর শহরের দুই দুই এলাকায় দুইজন ডিলার নিয়োগ করা হয়। প্রতি ডিলারকে দৈনিক দেড় টন চাল ও একটন আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রতিজন ৩০ টাকা কেজি দামে দৈনিক পাঁচ কেজি চাল ও ১৮ টাকা কেজি দামে পাঁচ কেজি আটা কিনতে পারবেন। এ দুই ডিলারের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকে মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় । আজ বুধবার আরো একজন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। এ তিন ডিলার লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চাল ও আটা বিক্রি করবেন।
পৌর শহরের দক্ষিণ বাজারের ডিলার মেসার্স আবদুল হাই এর পরিচালক জহিরুল আলম জানান, প্রতিদিন দেড়টন চাল ৩০ টাকা কেজি দামেমপাঁচ কেজি হারে ৩০০ জনকে এবং একটন আটা ১৮ টাকা দামে প্রতিজনকে পাঁচ কেজি হারে ২০০ জনের কাছে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। সকাল নয়টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয় চাল ও আটা কিনতে পারলেও বরাদ্দ কম থাকায় অনেকে না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। লাইনে দাাঁড়ানো লোকজনের মধ্যে শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামের মানুষে সংখ্যা অনেক বেশী বলে তিনি জানান। তিনি মনে করেন- চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সেনবাগ পৌর এলাকায় আরো ডিলার নিয়োগ করা উচিত । সেনবাগ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান, আপাতত সেনবাগ পৌর শহরে তিনজন ডিলারের মাধ্যমে নায্য মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। লোকজনের ভিড় বেশী এটা সত্য। প্রয়োজন হলে আরো ডিলার নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে ।