দিনে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভবনা
সুবর্ণ প্রভাত নিউজ ডেস্কঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডল্ডের (বাপেক্স) নতুন গ্যাস কূপ খনন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন নামের এ কূপ খনন প্রকল্পের কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।
প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলালের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপেক্সের খনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী গাজী মো. মাহবুবুল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপেক্সের প্রকৌশল বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির, বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্পের ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা ।
এ কূপ খনন কার্যক্রমের আগে গত ২২ এপ্রিল কুপ খননের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয় এবং পর থেকে বাপেক্সের দুই শতাধিক প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।
বাপেক্স সূত্রে জানাযায় , এ কুপ খননের আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম গ্যাস কূপের সন্ধান মেলে, ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় গ্যাস কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো খনন করা হয়। কিন্তু পরে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় গ্যাস কূপের সন্ধান পাওয়া যায় এবং খনন করার পর গ্যাস উৎপাদন করা হয়। ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার (আক্রমণাত্মক কৌশল) চালিয়ে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এ খনন কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আল হেলাল প্রিন্স বলেন, ২৫ এপ্রিল ২০২২ সালে প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। ২০২৩ সালে সাড়ে ৫ একর ভূমি হুকুম দখল করা হয়। ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে অবকাঠামো তৈরি এবং ২ এপ্রিল রিগ নিয়ে আসা হয় এবং ২২ এপ্রিল স্থাপন করা হয়। ১২০ দিনে খনন কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
বাপেক্সের খনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী গাজী মো. মাহবুবুল হক বলেন, নিজস্ব যন্ত্রপাতি ও নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার ও জনবল দিয়ে বাপেক্স দেশের জন্য কাজ করছে। বর্তমানের জ্বালানি সংকটের সময় বাপেক্স যে ভূমিকা রাখছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে জ্বালানির গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। বর্তমানে এ খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন।