নিজস্ব প্রতিনিধিঃনোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা সাহেদুজ্জামান পলাশকে(৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দূবৃর্ত্তরা। সে পূর্ব মির্জানগর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। নিহত পলাশ সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী(কাঁচি) আতাউর রহমান মানিকের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দূবৃর্ত্তরা তাকে হত্যা করে তার বাড়ি পূর্ব মির্জানগরের কাছে ফেলে যায়। পুলিশ রাতে তার লাশ উদ্বার করে সোনাইমুড়ী থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, , গতকাল রাতে পলাশের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের খালি জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তার কপাল ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে। এঘটনা স্থানীয়রা সোনাইমুড়ী থানা–পুলিশকে জানায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সানাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ

বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তার ধারনা রাত সাড়ে সাড়ে ৮টার পর এঘটনার ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। আজ রবিবার সকালে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা এই জড়িত তাৎক্ষনিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায়্য তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ দায়েরর পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসি আরও বলেন,নিহত পলাশের স্ত্রীর জানিয়েছেন পলাশ একসময় বিদেশে থাকতেন। তিনি দেশে এসে এলাকায় মাছ ও মুরগির খামার করেন। পিলাশ স্ত্রী নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। দিনের বেলায় নিজের বাড়িতে আসতেন এবং খামার দেখাশোনা করতেন। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে পলাশের সাথে মোবাইলফোনে তার স্ত্রীর সর্বশেষ কথা হয়েছিল।
এ দিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক জানিয়েছেন,শাহেদুজ্জামান পলাশ পূর্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে তার( কাঁচি) প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদ করায় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের দিন থেকে নৌকা প্রতীকের স্থানীয় সমর্থকেরা পলাশকে নানা হুমকি দিয়ে আসছেন। নির্বাচন নিয়ে বিরোধে পলাশকে খুন করা হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ সম্পর্কে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী এমপি মোরশেদ আলমের মতামত জানতে কয়েকবার তার মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনে মোরশেদ আলম (নৌকা) প্রতীকে ৫৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র (কাঁচি) প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁই মানিক পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৬৩ ভোট।