মো. আবদুল মালেক, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
‘মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ’ এই স্লোগানে লক্ষ্মীপুর জেলার স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিষয়ক স্কুল হেলথ্ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহম্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ৫০০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্কুল হেলথ্ কার্ড’ বিতরণ ও স্ক্রিনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এসডিজি-৩ সকল বয়সী মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করণে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগ গ্রহর করে। এর ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের সকল শিক্ষক্ষার্থীদের জন্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।
সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহের নিগার।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা’ প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো আমরাও স্কুল ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্মীপুরের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী স্কুল হেলথ্ কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পাবেন। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষার পাশাপাশি মানষিক ও শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, সে জন্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারিরীক অবস্থা যাচাই করা হবে। তাদের শারীরিক এবং পুষ্টিকর বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সেগুলো স্বাস্থ্য কার্ডে লিপিবদ্ধ থাকবে। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে এই কার্ডের মাধ্যমে তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হেলথ্ কার্ডের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চতা, ওজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিগত অবস্থা, শারীরিক সমস্যা, দৃষ্টি পরীক্ষা, রক্তশূন্যতা, পালস্ ও হার্টবিটসহ সামগ্রিক বিষয় উল্লেখ থাকবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা কার্ডের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবেন।