ছবি সংগৃহীত
মো. আবদুল মালেক, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে মহিন নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে হত্যার পর সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামী মোহন ও তারেকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। একই সঙ্গে ওই দুই আসামীর আরো ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা , তা অনাদায়ে ১ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই আদালত অপর এক মাদক মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে মোহন ও রশিদপুর গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে তারেক। মাদক মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হলেন টেকনাফের পানখালি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই রাতে রামগঞ্জ থেকে সিএনজি ভাড়া করে নিয়ে এসে লক্ষ্মীপুর সদরের হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে চালক মহিনকে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আসামীরা। পরে সড়কের ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ২৮ জুলাই নিহতের পিতা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শহরের রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ীর সামনে থেকে সিএনজিটি উদ্ধার করে এবং মামলার তদন্তক্রমে ২০১৪ সালের ১৩জানুয়ারী মোহন ও তারেকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১২জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাদের যাবজ্জীবন সাজা ও জরিমানা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোহনের অনুপস্থিতিতে আদালতএ রায় প্রদান করেন। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
একই আদালত অপর এক মাদক মামলায় গিয়াস উদ্দিন নামের একজনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর টেকনাফ থেকে পেটের ভেতর করে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার দালালবাজার এলাকা থেকে এক মাদক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভেতর থেকে ১ হাজার ১২৫পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে সাজা প্রদান করেন আদালত।
লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসেকিউটর (পিপি) এডভোকেট জসীম উদ্দিন হত্যা ও মাদক মামলার রায়ের বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন। এদিকে হত্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামী পক্ষের আইনজীবি আফরোজা ববি উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।